পোশাক রপ্তানিতে আবারও ভিয়েতনামকে ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশ

Shakil
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৮:২৬ অপরাহ্ন, ০১ ডিসেম্বর ২০২২ | আপডেট: ৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, ০২ ডিসেম্বর ২০২২
(no caption)
(no caption)

বাংলাদেশ ২০২১ সালে বৈশ্বিক তৈরি পোশাক রপ্তানি বাজারে আবারও দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। ২০২০ সালে ভিয়েতনাম বাংলাদেশকে তৃতীয় অবস্থানে ঠেলে দিয়ে দ্বিতীয় হয়েছিল।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডাব্লিউটিও) প্রকাশিত বিশ্ব বাণিজ্য পরিসংখ্যান পর্যালোচনা ২০২২-এ দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানিতে ভিয়েতনামের অংশ ২০২০ সালের ৬.৪০ শতাংশ থেকে ২০২১ সালে ৫.৮০ শতাংশে নেমে গেছে।

আরও পড়ুন: ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৫ হাজার ৫৫৯ কোটি টাকা

বৈশ্বিক আরএমজি বাজারে বাংলাদেশের অংশ অবশ্য ২০২০ সালে ৬.৩০ শতাংশ থেকে গত বছর ৬.৪০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এই অনুপাত ২০১৯ সালে ৬.৮০ শতাংশ এবং ২০১৮ সালে ছিল ৬.৪০ শতাংশ।

ডাব্লিউটিওর পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় আরো দেখা গেছে, গত বছর বাংলাদেশ থেকে আরএমজি রপ্তানি দৃঢ়ভাবে বেড়েছে এবং বার্ষিক ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি রেকর্ড করেছে। ২০২০ সালে এই রপ্তানি একটি বড় ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছিল এবং ভিয়েতনামের আরএমজি রপ্তানির ৭ শতাংশ বৃদ্ধির বিপরীতে বাংলাদেশে ১৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল।

আরও পড়ুন: নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে পুলিশের জন্য আসছে ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা

বৈশ্বিক পোশাক রপ্তানি বাজারে ২০১০ সালে বাংলাদেশের অংশ ছিল ৪.২০ শতাংশ, তখন ভিয়েতনামের অংশ ছিল ২.৯০ শতাংশ।

চীন ২০২০ সালে বৈশ্বিক পোশাক রপ্তানি বাজারে দেশটির অংশ ৩১.৬০ শতাংশ থেকে গত বছরে ৩২.৮০ শতাংশে উন্নীত করে প্রথম অবস্থান ধরে রেখেছে।

ডাব্লিউটিওর প্রকাশনা অনুসারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আরএমজির দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক রপ্তানিকারক। সুতরাং প্রযুক্তিগতভাবে, বাংলাদেশ তৃতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক আরএমজি রপ্তানিকারক দেশ এবং ভিয়েতনাম চতুর্থ।

ইইউএর সম্মিলিত রপ্তানি পরিসংখ্যান দেশভিত্তিক আলাদা করা হলে, বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনাম দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শীর্ষ রপ্তানিকারক হবে।

তুরস্ক এবং ভারত পঞ্চম এবং ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে, তারপরে রয়েছে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, হংকং এবং পাকিস্তান।

ডাব্লিউটিওর পরিসংখ্যানে আরো দেখা যায়, শীর্ষ ১০ পোশাক রপ্তানিকারকের বার্ষিক মোট রপ্তানি মূল্য দাঁড়িয়েছে ৪৬০ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২০ সালের ৩৭৮ বিলিয়ন থেকে একটি বড় উত্থান। এই মূল্য ২০১৯ সালে ৪১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেকর্ড করা হয়েছিল। সূত্র : বাসস।