চলতি অর্থবছরে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি নিম্নগামী

Shakil
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৬:১৩ অপরাহ্ন, ০৬ মার্চ ২০২৩ | আপডেট: ৫:৫২ অপরাহ্ন, ০৬ মার্চ ২০২৩
ফাইল ফটো
ফাইল ফটো

চলতি (২০২২-২৩) অর্থবছরের জন্য বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা গত সাত মাসের (জুলাই-জানুয়ারি) কোনোটিতেই অর্জন করতে পারেনি ব্যাংক খাত। চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে এ খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির হার ছিল সবচেয়ে নিম্নগামী। জানুয়ারিতে অর্জিত হয়েছে ১২ দশমিক ৬২ শতাংশ, যা চলতি অর্থবছরের অন্য মাসের তুলনায় কম। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের পর ঋণের চাপ বেড়েছে। ঋণের সুদহার বেঁধে দেওয়ার ফলে অনেকে নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এ সময়ে কেউ কেউ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়েছেন। সবকিছু ঠিকঠাক চললেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি সব পাল্টে দেয়। যুদ্ধের কারণে ব্যাপক হারে বেড়েছে ডলারের দাম। এতে ঋণপত্রের মূল্য বেড়ে যায়। আমদানিকারকদের ঋণ নেওয়ার পরিমাণও বেড়ে যায়। তবে আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করায় বেসরকারি খাতে ঋণের পরিমাণ কিছুটা কমেছে।

আরও পড়ুন: পাম অয়েলের দাম লিটারে কমলো ১৯ টাকা

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাসে (জুলাই) বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশে। পরের মাস আগস্টে সেটি আরও কিছুটা বেড়ে ১৪ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশে ওঠে। সেপ্টেম্বরে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে, যা অক্টোবরে ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ আর নভেম্বরে ১৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ হয়।

গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে এ খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ। চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে এ হার আরও কমে ১২ দশমিক ৬২ শতাংশে দাঁড়ায়, যা চলতি অর্থবছরের সাত মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত

চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে বেসরকারি খাতে ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ২৬ হাজার ২৬ কোটি টাকা। মাসটিতে ডিসেম্বরের চেয়ে কম ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গত ডিসেম্বরে খাতটির ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

দেশের বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি সাধারণত দুই অংকের ঘরেই থাকে। তবে ২০১৯ সালের নভেম্বরে প্রথমবার সেটি কমে ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশে নেমে আসে। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ২০২০ সালের মে মাসে ঋণ প্রবৃদ্ধি নামে ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশে। ওই বছরের জুন থেকে তা আবার বাড়তে থাকে।

এদিকে দেশের মধ্যে ডলার সংকট বেড়েই চলছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংকট মোকাবিলায় কিছু পদক্ষেপও নিয়েছে। তবুও কাটছে না এ সংকট।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩২ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মানদণ্ড অনুযায়ী বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণ কমে দাঁড়াবে ২৪ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।