রিজার্ভের নতুন হিসাব প্রকাশ করল বাংলাদেশ ব্যাংক

Babul khandakar
বাংলাবাজার পত্রিকা রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৭:২০ অপরাহ্ন, ১৩ জুলাই ২০২৩ | আপডেট: ১:২০ অপরাহ্ন, ১৩ জুলাই ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ হিসাব পদ্ধতিতে বাংলাদেশের রিজার্ভের পরিমাণ জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে দেখা যায়, বর্তমানে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৫৬ কোটি ডলার।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্দেশনা অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভের এই তথ্য প্রকাশ করল বাংলাদেশ ব্যাংক।

আরও পড়ুন: ২০ দিনে দেশে এলো ১৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (১২ জুলাই) শেষে মোট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ (জিআইআর) দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলারে। যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগসহ দেখানো হয়েছিল ২৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ (এনআইআর) তথ্য প্রকাশ করবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংক আইএমএফের ব্যালেন্স অফ পেমেন্টস এবং ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল বিপিএম-৬ সংস্করণের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গ্রস আন্তর্জাতিক রিজার্ভ সংকলন করেছে। যা বিপিএম-৬ নামেও পরিচিত।

আরও পড়ুন: বৈধ অ্যালকোহল ও নিষিদ্ধ মাদককে আলাদা আইনে পরিচালনায় দুটি অধ্যাদেশ জারির দাবি ব্যবসায়ীদের

মোট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ (জিআইআর) বলতে বোঝায় একটি দেশের মোট ধারণকৃত বৈদেশিক মুদ্রা সম্পদ যা আন্তর্জাতিক লেনদেনে ব্যবহারের জন্য সহজলভ্য। তবে বাংলাদেশ এতোদিন জিআইআর মানত না। এতদিন রিজার্ভ থেকে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) এর সরবরাহ করা ৭ বিলিয়ন ও শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ২০ কোটি ডলার রিজার্ভে দেখাচ্ছিলো। এছাড়া গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ) ২০ কোটি, লং টার্ম ফিন্যান্সিং ফ্যাসিলিটি (এলটিএফএফ) তহবিলে ৩ কোটি ৮৫ লাখ, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমানকে ৪ কোটি ৮০ লাখ এবং ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইটিএফসি) এর আমানত রিজার্ভে দেখাচ্ছিলো।

গত ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। ঋণ অনুমোদনের তিন দিনের মাথায় সংস্থাটি প্রথম কিস্তির অর্থ ছাড় দিয়েছিলো। এছাড়া ঋণের বাকি অর্থ পাওয়া যাবে তিন বছরে অর্থাৎ ছয়টি সমান কিস্তিতে ৩৬ মাসে। দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়া যাবে এ বছরের ডিসেম্বরে আর শেষ কিস্তি পাওয়া যাবে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে। এসব কিস্তির পরিমাণ ৭০ কোটি ৪০ লাখ ডলার করে। এই ঋণ পাওয়ার অন্যতম একটি শর্ত ছিলো রিজার্ভের সঠিক তথ্য প্রকাশ করা।