এডিবি বাংলাদেশের প্রয়োজন বুঝতে পারছে: অর্থমন্ত্রী

Abid Rayhan Jaki
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩:৪৫ অপরাহ্ন, ০২ এপ্রিল ২০২৪ | আপডেট: ৪:৫০ পূর্বাহ্ন, ০৩ এপ্রিল ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশের প্রয়োজন বুঝতে পারছে এবং সে অনুযায়ী আরও সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সচিবালয়ে এডিবি ভাইস প্রেসিডেন্ট (সেক্টর ও থিমস) ফাতিমা ইয়াসমিনের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা জানান অর্থমন্ত্রী। বৈঠকে অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারও উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন: পাম অয়েলের দাম লিটারে কমলো ১৯ টাকা

মন্ত্রী ও সচিব বলেন, এডিবির কাছে আরও বাজেট সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এডিবি ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।

এডিবি এখন বাংলাদেশের প্রয়োজন বুঝতে পারছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা এডিবির সঙ্গে সম্পর্ক ডেভেলপ করছি ৫০ বছর ধরে। এটা আরও ভালো হবে, আরও শক্তিশালী হবে। আমরা এডিবির বার্ষিক সম্মেলনে যাচ্ছি। সেখানে আরও আলোচনা হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা খুবই সন্তুষ্ট। যেভাবে আমাদের সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে, তারা আমাদের প্রয়োজন বুঝতে পারছে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত

এ সময় অর্থসচিব বলেন, এডিবি আমাদের ৫০ বছরের বন্ধু। আমরা এডিবির কাছ থেকে ফান্ড পেয়ে আসছি, ভবিষ্যতে যেন আরও পাই, সেজন্য স্যার (অর্থমন্ত্রী) অনুরোধ করেছেন। করোনার সময় এডিবি আমাদের বাজেট সহায়তা দেওয়ায় আমরা অর্থনৈতিক সংকট দ্রুত উতরাতে পেরেছি। এই বাজেট সাপোর্ট যাতে আরও বাড়ে সেজন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

আমাদের অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এডিবি প্রতিনিধি দলের কোনো পর্যবেক্ষণ আছে কি না– এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, কোনো পর্যবেক্ষণ নেই। তারা খুব খুশি।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে ৪০ কোটি ডলার বা চার হাজার কোটি টাকার বেশি বাজেট সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এডিবি। গত বছরের ১১ ডিসেম্বরে এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। আরও ৯ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকে।

সাম্প্রতিক অর্থবছরগুলোতে সরকারের বাজেট সহায়তা নেওয়ার পরিমাণ বাড়তে দেখা যাচ্ছে। মূলত করোনা-পরবর্তী সময়ে টিকা কেনা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য বাজেট সহায়তার পরিমাণ বেড়েছে। এ ছাড়া ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকারের বাজেট সহায়তা নেওয়ার কার্যক্রম জোরদার হয়েছে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকার ১৭৬ কোটি ডলার, ২০২১-২২ অর্থবছরে ২৫৯ কোটি ডলার, ২০২০-২১ অর্থবছরে ১০৯ কোটি ডলার এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১০০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা নিয়েছে। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকারের বাজেট সহায়তার পরিমাণ ছিল প্রায় ২৫ কোটি ডলার।

সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের ঋণ পরিশোধের প্রবণতাও বেড়েছে একইসঙ্গে। ইআরডির তথ্য মতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট মাসে সুদ ও আসল বাবদ আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের প্রায় ২০৩ কোটি ডলার পরিশোধ করেছে সরকার। গত অর্থবছরের একই সময়ে পরিশোধ করা হয়েছিল ১৪২ কোটি ডলার। অর্থাৎ, ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে ৪৩ শতাংশ। এর মধ্যে সুদ পরিশোধ করা হয়েছে ৮০ কোটি ৬০ লাখ ডলার; আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা দ্বিগুণ।