চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কমার পূর্বাভাস দিল বিশ্বব্যাংক

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫.৬ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক। গত অর্থবছরের তুলনায় এ অর্থবছর দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমবে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ।
আরও পড়ুন: প্রথম ১০ দিনে অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিল করলেন ৯৬ হাজারের বেশি করদাতা
সংস্থাটি বলছে, মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি নির্ভর করবে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্য কেমন থাকে তার ওপর।
বিশ্বব্যাংক আরও বলছে, মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে পারলে এবং বহির্বিশ্বের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক করা সম্ভব হলে বাংলাদেশ অর্থনীতি ইতিবাচক হবে। এ জন্য সঠিক মনিটরি পলিসি নেওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক খাতে সংস্কার আনা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: পাম অয়েলের দাম লিটারে কমলো ১৯ টাকা
বিশ্বব্যাংক বলেছে, আগামী ২০২৪-২৫ সালে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পরে। যদিও গত অক্টোবরে এটা ৫.৮ হওয়ার কথা বলেছিল ব্যাংকটি। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি আরো বেড়ে ৫ শতাংশ হতে পারে। কিন্তু যথাযথ সংস্কার পদক্ষেপ না নিলে অর্থনৈতিক দুর্বলতা আরো প্রকট হতে পারে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।
বিদ্যমান মূল্যস্ফীতি, ব্যালান্স অব পেমেন্টের ঘাটতি এবং আর্থিক খাতের দুর্বলতা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করছে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। তবে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে বলছে সংস্থাটি। এর মধ্যে রয়েছে, জ্বালানির মূল্য সমন্বয়, রফতানি ভর্তুকি কমানো এবং মনিটারি পলিসি টাইট করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক জানায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে ভারত। এরপরই জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দেশ হবে বাংলাদেশ। অর্থবছর শেষে বাংলাদেশ ৫.৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। এরপর ভুটান ৪.৯ শতাংশ, মালদ্বীপ ৪.৭ শতাংশ, নেপাল ৩.৩ শতাংশ, শ্রীলঙ্কা ২.২ শতাংশ এবং পাকিস্তান ১.৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে।
এ সময় আরও জানানো হয়, ২০২৫ সালে দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ১ শতাংশ।