বিদ্যালয়ে ভর্তি শুরু, চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত

আগামী বছরের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম আগামীকাল শুরু হয়েছে। প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম আজ থেকে শুরু হয়ে চলবে আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
মঙ্গলবার সরকারি-বেসরকারি স্কুল ভর্তিতে ডিজিটাল লটারিতে নির্বাচিতরা বুধবার (২৯ নভেম্বর) থেকে ভর্তি হতে পারছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র নারী ভিপি মাহফুজা খানমের মৃত্যু
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) বলছে, স্কুলগুলোকে পাঁচ দিনের মধ্যে মেধাতালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ভর্তি শেষ করতে হবে। এরপর প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি করাতে হবে চার দিনের মধ্যে। আর দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি করাতে স্কুলগুলো সময় পাবে তিন দিন। তবে এই তিন তালিকার শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য স্কুলগুলোর শেষ সময় ১৪ ডিসেম্বর।
এ বিষয়ে মাউশি পরিচালক (বিদ্যালয়) বেলাল হোসাইন বলেন, মেধাতালিকার পাশাপাশি প্রথম ও দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ করেছি। স্কুলগুলো বুধবার (আজ) থেকে ভর্তি শুরু করতে পারবে। ভর্তি শেষ করতে সময় পাবে পাঁচ দিন। এরপর অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি শুরু। কোনোভাবেই ১৪ ডিসেম্বরের পরে ভর্তি করানো যাবে না।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার সুযোগ বাতিলের প্রতিবাদে নাসিরনগরে কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সংবাদ সন্মেলন
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে লটারি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এদিন দুপুর ২টার দিকে লটারির ফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। ফল মেইলে স্কুলপ্রধানদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে মাউশি। শিক্ষার্থীরা কে, কোন স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে—সেটি আবেদনের সময় তাদের দেওয়া মোবাইল নম্বরে এসএমএস করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে মনোনীত সবাই এসএমএস পাবে।
নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র যাচাইকালীন শিক্ষার্থীর জন্মসনদের মূল কপি, জন্মসনদের অনলাইন কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাই করতে হবে)। পিতামাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) মূল কপি ভালো করে দেখতে হবে।
ভর্তির সময়ে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করার নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি। কেউ যদি মিথ্যা তথ্য দিয়ে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে থাকলে (যাচাই সাপেক্ষে) তাকে ভর্তি করা যাবে না।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ জারি করা ভর্তি নীতিমালায় যেসব কোটা সংরক্ষিত রয়েছে, ভর্তির সময়ে ওইসব কোটায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কোটা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যথাযথভাবে যাচাই করতে হবে। শুধু বীর মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছাড়া অন্য কোটায় শূন্য আসন পূরণ না হলে সাধারণ নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে অপেক্ষমাণ তালিকার ক্রমানুসারে শূন্য আসন পূরণ করতে হবে। কোনোভাবেই আসন শূন্য রাখা যাবে না।
মাউশির নির্দেশনা অনুসরণ না করে বিধিবহির্ভূতভাবে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলে এবং পরে তা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান দায়ী থাকবেন বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।