‘জুলাই কোটা’ নিয়ে ছাত্রঅধিকার পরিষদের বিবৃতি

জুলাই অভ্যুত্থানে হতাহত পরিবারের সন্তানদের সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ নিয়ে আজ সোমবার (৩ মার্চ) জরুরি সংবাদ সম্মেলন করছে ছাত্রঅধিকার পরিষদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রঅধিকার পরিষদের সভাপতি বনি আমিন মোল্লা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত বা আহতদের পরিবারের সদস্যদেরকেও কোটাব্যবস্থায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এই কোটা বৈষম্যকে বিলোপ করার জন্য যেই ২০১৮ সালে আন্দোলন করেছিলাম। যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়। এর এক পর্যায়ে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন হয়। কিন্তু আমরা ৭ মাস পার না হতেই দেখছি, যে বৈষম্যবিরোধী চেতনা তার বিরুদ্ধে গিয়ে সরকার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র নারী ভিপি মাহফুজা খানমের মৃত্যু
তিনি বলেন, আমরা সুস্পষ্টভাবে বলছি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে এ ধরনের কোটা থাকতে পারে না।
ছাত্রঅধিকার পরিষদের সভাপতি আরও বলেন, বাংলাদেশে যে কোটা সংস্কার আন্দোলন হয়েছে সেখানে নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্র, তরুণ, জনতারা। যারা অংশগ্রহণ করেছে তাদেরকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, শুধুমাত্র আমরাই এই দেশের মালিক নয়। এর মালিক এ দেশের সবাই। আমরা মনে করি, একটা বৈষম্যমূলক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যেভাবে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, সেভাবেই ২০২৪-এ গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার সুযোগ বাতিলের প্রতিবাদে নাসিরনগরে কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সংবাদ সন্মেলন
বনি আমিন মোল্লা বলেন, রেলে কোটা, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এখনও কোটা আছে। কিন্তু সেখানকার কোটা নিয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে স্কুলে ভর্তিতে কোটা ব্যবস্থায় দৃষ্টি দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রদের বৈষম্য রোধ করতেই আমরা আন্দোলন করেছি। এই ছাত্রঅধিকার পরিষদের জন্ম হয়েছে। আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করেছি। ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম, গোপালগঞ্জ প্রযক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করেছি। সেই জায়গা থেকে আমরা আবার বলছি, কোটাব্যবস্থা চালু রয়েছে, এর বিলুপ সাধন করতে হবে। যদি না করা হয়, ছাত্রঅধিকার পরিষদ তীব্র থেকে তীব্রতর আন্দোলন শুরু করবে।