জুলাই অভ্যুত্থানের পর সাংবাদিকদের দেওয়া হয়েছে অবারিত স্বাধীনতা: আজাদ মজুমদার

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৫:৫২ অপরাহ্ন, ১৩ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ৮:২১ অপরাহ্ন, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার বলেছেন, সাংবাদিকতা এমন একটি পেশা, যেখানে প্রতিদিনই নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে সাংবাদিকতায় অভাবনীয় পরিবর্তন এসেছে। আগে রাষ্ট্রীয় ও ব্যবসায়িক নিয়ন্ত্রণের কারণে অনেক সাংবাদিক সেল্ফ সেন্সরশিপে ভুগতেন। এখন সাংবাদিকদের দেওয়া হয়েছে অবারিত স্বাধীনতা—আর এই স্বাধীনতাই আজ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ; কারণ এই সুযোগ কীভাবে কাজে লাগাতে হবে, তা অনেকেই বুঝে উঠতে পারছেন না।

শনিবার (১১ অক্টোবর)  স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এসইউবি) জার্নালিজম, কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ (জেসিএমএস) বিভাগের ৩৫ ও ৩৬ ব্যাচের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

আরও পড়ুন: ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান দিচ্ছে বাংলাদেশ, আশ্রয় দিচ্ছে ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে

নবীনবরণ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সাংবাদিকতা: সংকট ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আজাদ মজুমদার।

তিনি বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে মিথ্যা তথ্যও দ্রুত ছড়াচ্ছে। যারা মিস-ইনফরমেশন ও ডিস-ইনফরমেশনের বিরুদ্ধে লড়াই করে সত্য প্রতিষ্ঠা করতে পারবে, তারাই সাংবাদিকতায় টিকে থাকবে—অন্যরা হারিয়ে যাবে।’

আরও পড়ুন: সেনানিবাসের বাড়ি সাবজেল ঘোষণা প্রসঙ্গে ঢিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন খান। নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকতা শুধু একটি পেশা নয়, এটি সমাজ, রাষ্ট্র ও মানবতার প্রতি দায়বদ্ধতার এক মহৎ অঙ্গীকার। তোমাদের সততা, জ্ঞান ও প্রযুক্তি দক্ষতার সমন্বয়ে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। সাংবাদিকতা বিভাগ তোমাদের চিন্তা, বিশ্লেষণ ও লেখনীর বিকাশে অনন্য ভূমিকা রাখবে।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জেসিএমএস বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সামসুল ইসলাম। এছাড়া বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. আহমেদ হোসাইন এবং প্রক্টর শাহ রেজা এম. ফাহাদ হোসেন। 

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিভাগের প্রভাষক তাসফিয়া নাহিয়ান হাফিজ।