জোটে না এককভাবে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি: সারজিস আলম

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:৩৪ অপরাহ্ন, ১৩ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ৬:৩৪ অপরাহ্ন, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এককভাবে অথবা জোটগতভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে বলে জানিয়েছেন দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, জোটগতভাবে অংশ নিলেও দলটি ‘শাপলা’ প্রতীকেই নির্বাচন করবে।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে জামালপুর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এনসিপির জেলা ও উপজেলা কমিটির সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আরও পড়ুন: পেকুয়ায় নৌবাহিনীর ৩ দিনব্যাপী বিনামূল্যে ডেন্টাল ও মেডিকেল ক্যাম্পেইন শুরু

শাপলা প্রতীক ব্যবহারে কোনো আইনগত বাধা নেই দাবি করে সারজিস আলম বলেন, “প্রতীক তালিকাভুক্ত করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কমিশন চাইলে আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রতীকের তালিকা সংশোধন করতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “এনসিপি উচ্চ কক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) ব্যবস্থার পক্ষে থাকলেও নিম্নকক্ষে তা সমর্থন করে না।”

আরও পড়ুন: গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক মো. আবদুল জলিল

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবতা তুলে ধরে সারজিস আলম আশা প্রকাশ করেন, “ডিসেম্বরের মধ্যে গণহত্যার বিচার সম্পন্ন হলে নির্বাচনে কোনো বাধা থাকবে না।” তবে, ভারতসহ কোনো বহিরাগত প্রভাব বা এজেন্ট যদি নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে, তা সফল হবে না বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন।

এনসিপিকে ‘কিংস পার্টি’ বলার সমালোচনা করে সারজিস আলম বিএনপির প্রতিষ্ঠাকাল ও উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়ার পেছনে যৌক্তিকতা রয়েছে। সিন্ডিকেটের কারণে রাষ্ট্রীয় আয় যেমন হওয়া উচিত তা হচ্ছে না। তাই দেশের স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ও জামালপুর জেলার প্রধান সমন্বয়ক লুৎফর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ) আশিকিন আলমসহ অন্যান্য নেতারা।

সমন্বয় সভায় জেলার সাতটি উপজেলা থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা অংশ নেন। বক্তারা বলেন, “বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে এনসিপি একটি বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সংগঠনকে আরও ঐক্যবদ্ধ ও গতিশীল করতে হবে।”