চীনে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন রেদওয়ান-হিমেল

Sanchoy Biswas
রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৬:০৯ অপরাহ্ন, ২২ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১০:০৪ পূর্বাহ্ন, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

চীনে দক্ষিণ এশিয়া ইয়াং এনভয়েজ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশের দুই শিক্ষার্থী। আগামী ২০ অক্টোবর ২ নভেম্বর পর্যন্ত চীনের ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠেয় এই প্রোগ্রামে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন তারা। 

ওই দুই শিক্ষার্থী হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. রেদওয়ান ইসলাম রিদয় ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি)-এর হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থী শ্যামসুল আলম হিমেল। এছাড়া এই প্রোগ্রামে পাকিস্তান থেকে ৮ জন, নেপাল থেকে ৪ জন, ভারত থেকে ২ জন ও শ্রীলঙ্কা থেকে একজন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণে সুযোগ পেয়েছেন।

আরও পড়ুন: মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে ফিরে গেলেন শিক্ষকরা, রাতে সেখানেই অবস্থান

এই প্রোগ্রামটির আয়োজন করেছে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় নেটওয়ার্ক এবং এতে চীন ও দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছেন। প্রোগ্রামের মূল লক্ষ্য হচ্ছে পারস্পরিক সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক বিনিময়, ভাষাগত দক্ষতা ও বন্ধুত্ব গড়ে তোলা। 

অনুভূতি প্রকাশ করে রেদওয়ান ইসলাম রিদয় বলেন, এ অর্জন শুধু আমার নয়, বরং প্রতিটি তরুণের, যারা স্বপ্ন দেখে সীমাবদ্ধতার দেওয়াল ভেঙে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজের দেশকে তুলে ধরার। আমি বিশ্বাস করি, প্রমাণের জন্য লাগে স্বপ্ন, পরিশ্রম আর অটল বিশ্বাস। ১৪ দিনের এই প্রোগ্রামে আমি নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করব, ভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হব, শিখব নেতৃত্ব ও বন্ধুত্বের পাঠ। কিন্তু এর চেয়েও বড় প্রাপ্তি হলো, বিশ্ব দরবারে দাঁড়িয়ে গর্ব করে বলতে পারব—আমি একজন বাংলাদেশি।

আরও পড়ুন: ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক

তিনি আরও বলেন, এই যাত্রা আমাকে আরও দায়িত্ববান করবে, যেন দেশে ফিরে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দিয়ে আমার সমাজ ও মাতৃভূমিকে এগিয়ে নিতে পারি। আমার এই পথচলা হয়তো অনেক তরুণকে সাহস দেবে বিশ্বাস করতে যে তারাও পারে, যদি সত্যিকারের চেষ্টা করে। বাংলাদেশ আমার অহংকার, আর তার সম্মান রক্ষার জন্য প্রতিটি সুযোগই আমার কাছে এক নতুন অঙ্গীকার।

শ্যামসুল আলম হিমেল তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, এই প্রোগ্রামে সুযোগের জন্য আমি সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার এই যাত্রায় আমার স্ত্রী, পরিবার, বন্ধু, ছোট ভাই ও বড় ভাই সবসময় আমাকে সহযোগিতা করেছে, দোয়া করেছে এবং মানসিকভাবে পাশে থেকেছে। তাদের এই সমর্থন ছাড়া আমার জন্য এতদূর আসা সম্ভব হতো না।

তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি, এ প্রোগ্রামে গিয়ে আমি নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাব, ভিন্ন ভিন্ন দেশের তরুণদের অভিজ্ঞতা জানব এবং আমার জ্ঞানও সবার সাথে ভাগ করে নিতে পারব। আল্লাহ যাকে যেখানে সুযোগ দেন, সেখানে গিয়ে শিখে আসা ও তা অন্যের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। তাই আমি চেষ্টা করব এই অভিজ্ঞতা থেকে সর্বোচ্চ উপকার নিতে এবং জ্ঞানকে শেয়ার করতে, ইনশাআল্লাহ।