ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫ পরবর্তী অভিযোগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অবস্থান

Any Akter
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৩:১১ অপরাহ্ন, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৫:৫৭ অপরাহ্ন, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫ পরবর্তী বিভিন্ন আবেদনপত্র ও অভিযোগ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অবস্থান জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের উপ-পরিচালক ফররুখ মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে চার দফায় এই অবস্থান তুলে ধরা হয়।

অভিযোগপত্র বিশ্লেষণ

আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি, পরীক্ষার তারিখ না দেওয়ার নির্দেশ

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে প্রার্থীদের দাখিল করা আবেদন ও দরখাস্তগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আইনগত পরামর্শও নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি আবেদনকারীর বিষয়ে পৃথকভাবে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে সম্প্রতি এক ছাত্রসংগঠনের সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত কিছু অভিযোগের প্রেক্ষিতে জরুরি প্রতিক্রিয়া জানানো প্রয়োজন মনে করেছে তারা।

সিসিটিভি ফুটেজ ইস্যু

আরও পড়ুন: রাবিতে ছাত্রশিবিরের মানববন্ধনের পর কিছুদিনের জন্য শাটডাউন স্থগিত

একাধিক প্রার্থী নির্বাচনের দিন ধারণকৃত ও সংরক্ষিত সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, এই ফুটেজ কোনো পাবলিক ডকুমেন্ট নয়। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংরক্ষিত আমানত, যা প্রয়োজনে সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। অভিযোগে নির্দিষ্ট সময়, স্থান বা ঘটনার উল্লেখ না থাকায় সেগুলোকে অস্পষ্ট ও সারবত্তাহীন বলা হয়েছে। তবে সুনির্দিষ্ট প্রাসঙ্গিক ঘটনার ফুটেজ দেখতে হলে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মনোনীত বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে তা দেখা সম্ভব হবে।

ভোটার তালিকার গোপনীয়তা

অভিযোগকারীরা ভোটারদের স্বাক্ষরিত তালিকার কপি চাইলেও বিশ্ববিদ্যালয় তা সরবরাহে অপারগতা প্রকাশ করেছে। কর্তৃপক্ষের মতে, এই তালিকা একটি গোপনীয় নথি, যা প্রকাশ করলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা ক্ষুণ্ণ হতে পারে। ডাকসু নির্বাচনী বিধিতেও এ তালিকা সরবরাহের কোনো বিধান নেই।

ব্যালট পেপার মুদ্রণ প্রসঙ্গ

বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করা হয়, ব্যালট পেপার মুদ্রণের জন্য প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে একটি অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। গোপনীয়তা বজায় রেখে প্রতিষ্ঠানটি ওএমআর মেশিনে স্ক্যানযোগ্য ব্যালট তৈরি করে সিলগালা অবস্থায় সরবরাহ করেছে। নির্বাচনের আগে-পরে বা গণনার সময় ব্যালট পেপার নিয়ে কোনো অসঙ্গতি দেখা যায়নি বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। নির্বাচন কমিশনের কড়া তত্ত্বাবধানে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়। তাই নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পর মুদ্রণ সংক্রান্ত অভিযোগকে ভিত্তিহীন হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছে বিশ্ববিদ্যালয়।

বিজ্ঞপ্তির শেষে জানানো হয়, কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই সব আবেদন ও অভিযোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করেছে। খুব শিগগিরই সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীদের কাছে পৃথকভাবে জবাব প্রেরণ করা হবে।