ঢাবির আশেপাশে দেহব্যবসা, অনুসন্ধানী অভিযানে মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়ের দাবি করেছেন, রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় রাতের বেলায় ভয়াবহভাবে দেহব্যবসা চলছে, যার সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের একটি অংশও জড়িত।
নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাত থেকে ফজর পর্যন্ত তিনি ব্যক্তিগতভাবে একটি অনুসন্ধানী অভিযান পরিচালনা করেন। ওই সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বিভিন্ন স্থানে নারী ও ট্রান্সজেন্ডার (হিজড়া ও রূপান্তরিত ব্যক্তি) দেহব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালিত
জুবায়েরের ভাষ্য অনুযায়ী, দেহব্যবসায় জড়িত নারীদের অনেকে পরিবারের কাছে নিজেদের চাকরিজীবী হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি দাবি করেন, এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রমে স্থানীয় কিছু পুলিশ সদস্য কমিশন নিয়ে সরাসরি মদদ দিচ্ছেন।
এবি জুবায়ের আরও জানান, তিনি কয়েকজনের নির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করেছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেবেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে যান চলাচলে নতুন নিয়ন্ত্রণ, আজ থেকেই কার্যকর
সবচেয়ে উদ্বেগজনক দিক হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন ট্রান্সজেন্ডার গোষ্ঠীর কিছু তরুণের সম্পৃক্ততা। তার ভাষায়, “এদের মধ্যে একজনের ইংরেজি এক্সেন্ট ছিল চমৎকার। জানতে পারি, সে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এলএলবি অনার্স করছে। তার মতো আরও অনেকেই সার্জারির মাধ্যমে শরীর নারীর মতো বানিয়ে বিলাসবহুল জীবনের অংশ হিসেবে দেহব্যবসায় যুক্ত হচ্ছে।”
ডাকসুর এই সমাজসেবা সম্পাদক আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “যদি সমাজ এখনই এই বিকৃত বাস্তবতার বিরুদ্ধে সচেতন না হয়, তবে সামনে ভয়াবহ এক সময় আসবে।”
প্রসঙ্গত, ক্যাম্পাসে ছিন্নমূল ভাসমান মানুষ, বহিরাগতদের মাদকের আড্ডা, গভীর রাতে তিন নেতার মাজারের আশপাশের এলাকায় দেহ ব্যবসা ইত্যাদি ইস্যুতে শিক্ষার্থীরা বারবার প্রতিবাদ করলেও এখন পর্যন্ত কোন সন্তোষজনক পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন।