জবি ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হত্যা: বংশাল থানায় তিনজনের নামে মামলা

Sanchoy Biswas
আরাফাত চৌধুরী, জবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৫:১৭ অপরাহ্ন, ২১ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ৫:৪৬ অপরাহ্ন, ২১ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বংশাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত বাদী হয়ে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল এগারোটায় বংশাল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ৩ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন—মো. মাহির রহমান, বার্জিস শাবনাম বর্ষা, ফারদীন আহম্মেদ আয়লান

আরও পড়ুন: বার্ষিক পরীক্ষা পর্যন্ত শনিবার স্কুল খোলা রাখার ঘোষণা আজিজীর

বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, তদন্তে এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে উঠে এসেছে এক জটিল প্রেমের দ্বন্দ্ব। প্রেমিকা বর্ষার সঙ্গে অভিযুক্ত মাহির রহমানের দীর্ঘ ৯ বছরের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু কিছুদিন আগে বর্ষা জুবায়েদ হোসাইনের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন। এ ঘটনায় মাহির ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন।

তিনি আরও বলেন, সম্পর্কের টানাপোড়েনের এক পর্যায়ে বর্ষা প্রথমে মাহিরকে প্রত্যাখ্যান করলেও পরে আবার যোগাযোগ করে জানান, জুবায়েদকে আর ভালো লাগে না তার। তখনই জুবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন বর্ষা ও মাহির।

আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ভর্তি আবেদন শুরুর তারিখ ঘোষণা

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ষা হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করলেও মাহির ও বর্ষাকে মুখোমুখি করলে তারা পুরো ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন, বলে নিশ্চিত করেছেন বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।

রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর আরমানিটোলায় টিউশনিতে গিয়ে খুন হন জবি পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯–২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জুবায়েদ হোসাইন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আরমানিটোলার পানির পাম্প গলির ‘রওশন ভিলা’ ভবনের সিঁড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশের বরাতে জানা যায়, সিসিটিভি ফুটেজে ঘটনাস্থল থেকে দুজন তরুণকে পালিয়ে যেতে দেখা যায়, যদিও তাদের মুখ পরিষ্কারভাবে দেখা যায়নি। ঘটনার পর থেকে টিউশনি করা ছাত্রী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় পুলিশ।

গত রোববার রাতে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার একটি ভবনের সিঁড়ি থেকে জুবায়েদের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। জুবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।

সহপাঠী ও পুলিশের তথ্যমতে, ভবনটির একটি বাসায় উচ্চমাধ্যমিকের এক ছাত্রীকে পড়াতেন জুবায়েদ। তাঁর লাশ উদ্ধারের পর ওই ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বংশাল থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।