উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Sadek Ali
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন, ২৪ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১:১০ পূর্বাহ্ন, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৩ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা এই মিছিলে অংশ নেন।

বিজয় একাত্তর হলের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশে পরিণত হয়। মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন— ‘ইসকন তুই জঙ্গি, স্বৈরাচারের সঙ্গী’, ‘একটা একটা ইসকন ধর, ধরে ধরে জেলে ভর’, ‘আমার সোনার বাংলায়, ইসকনের ঠাঁই নাই’, ‘ইসকন আর স্বৈরাচার, মিলেমিশে একাকার’ ইত্যাদি।

আরও পড়ুন: ডাকসুর উদ্যোগে ঢাবিতে শুরু হচ্ছে আত্মরক্ষা প্রশিক্ষণ কর্মসূচি

বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহতাপ ইসলাম অভিযোগ করেন, “জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য দেওয়ায় পঞ্চগড়ে খতিব মহিবুল্লাহকে ইসকন সদস্যরা অপহরণ করে নির্যাতন চালিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।” তিনি আরও বলেন, ১৭ বছর ধরে স্বৈরাচারের ছত্রছায়ায় ভারতীয় প্রভাবের মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নষ্টের চেষ্টা চলছিল, আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে তার সমাপ্তি ঘটেছে। এখনো ইসকনকে ব্যবহার করে ভারত বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলী হত্যাসহ একাধিক ঘটনায় ইসকন সদস্যদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। মাহতাপ ইসলাম হুঁশিয়ারি দেন, “স্বৈরাচার যেমন বিদায় নিয়েছে, ইসকনকেও এই দেশ থেকে বিদায় জানাতে হবে।

আরও পড়ুন: এইচএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণ আবেদন শেষ হচ্ছে আজ

আরেক শিক্ষার্থী সাদমান আব্দুল বলেন, “ইসকন শুরু থেকেই একটি উগ্রপন্থী সংগঠন হিসেবে কাজ করছে। তারা ভারতীয় প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের মুসলিম সমাজে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছে।” তিনি আরও যোগ করেন, গাজীপুরে ১৩ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ এবং খতিব অপহরণের মতো ঘটনায় ইসকন সদস্যদের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হয়েছে। রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশে কোনো জঙ্গিবাদী বা ইসলামবিরোধী সংগঠনকে কার্যক্রম চালাতে দেওয়া হবে না।”

 সমাবেশের অন্যান্য বক্তারাও ইসকন ইস্যুতে ইন্টেরিম সরকারের নিস্তব্ধতার সমালোচনা করেন এবং অনতিবিলম্বে এই উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধের দাবি জানান।