পল্টন ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষে ছাত্রশিবিরের আলোচনা সভা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
রাজধানীতে ২৮ অক্টোবর পল্টন ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে এ আয়োজন চলে।
আরও পড়ুন: জবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু ১৩ ডিসেম্বর
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনটির বর্তমান কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর পূর্ব সভাপতি আসিফ আব্দুল্লাহ ও দক্ষিণ সভাপতি হেলাল উদ্দিন।
আরও পড়ুন: জকসু নির্বাচন আয়োজনে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, “২৮ অক্টোবর আমাদের ইতিহাসের এক বেদনাবহ দিন। সেদিন ছিল ক্ষমতা হস্তান্তরের দিন, অথচ পূর্বপরিকল্পিতভাবে নিরস্ত্র নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাতে আমাদের অন্তত ছয়জন ভাই শহীদ হন।”
তিনি অভিযোগ করেন, “সেদিনের হত্যাকাণ্ডে দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি। শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হলেও রাজনৈতিক প্রভাবে তা প্রত্যাহার করা হয়। এখন সময় এসেছে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার।”
কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, “২৮ অক্টোবরের নৃশংস হত্যাকাণ্ড ছিল বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদের সূচনা। সেই ঘটনার মধ্য দিয়েই দমননীতি ও দুঃশাসনের অধ্যায় শুরু হয়েছিল। আমরা সেই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়েছি, শহীদের রক্তের বিনিময়ে আজ ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ দেখতে পাচ্ছি।”
তিনি সরকারের প্রতি দুটি দাবি জানান— ২৮ অক্টোবরের ঘটনার মামলা দ্রুত বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনালে পুনরায় চালু করা এবং সেদিন নিহত ১৮ জনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদের স্বীকৃতি দেওয়া। পাশাপাশি নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল ইসলাম বুলবুল, ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, সংগঠনটির সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম, কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি, জাকসুর জিএস মাজহারুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা শেষে নেতৃবৃন্দ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন এবং দর্শনার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।





