ডেঙ্গুতে আরও দুইজনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৭১৫

দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ৭১৫ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) প্রকাশিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৈনিক ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, একদিনে মারা যাওয়া দুইজনের মধ্যে একজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং অন্যজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৭ জনে এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫১ হাজার ৪০৪ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৫৩ জন
গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৭১৫ জনের বিভাগভিত্তিক তথ্য নিম্নরূপ— বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে): ১৩১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে): ৭০ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে): ১৪২ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন: ১৪১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন: ১১৪ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে): ৪১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে): ৩৪ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে): ৩২ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে): ১০ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬৬ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছর এ পর্যন্ত মোট ৪৮ হাজার ৬৬৭ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান বলেন,
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ শতাধিক রোগী হাসপাতালে,চলতি বছরে মৃত্যু ২২৪
“ডেঙ্গু এখন মৌসুমি রোগ নয়, সারা বছরই দেখা দিচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়ে। মশা নিধনে ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি স্থানীয় সরকারকে আরও সক্রিয় হতে হবে এবং জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।”
এ বিষয়ে কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলেন, শুধু জেল-জরিমানা আর প্রচারণায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। সঠিক জরিপ চালিয়ে প্রশিক্ষিত জনবল দিয়ে মশানিধনের কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।”
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন এবং মারা গিয়েছিলেন ১ হাজার ৭০৫ জন—যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।