সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি পাকিস্তানের পিএমএলএন-পিপিপি
পাকিস্তানে নির্বাচন হয়েছে গত ৮ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনে কোনো দলই এককভাবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম আসন পায়নি। এখনও সরকার গঠন সংক্রান্ত সব ইস্যুতে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি সম্ভব্য জোট সরকারের প্রধান দুই শরিক পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)।
নির্বাচনের ফলাফল নিজেই অবশ্য তার একটি বড় কারণ। পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির মোট আসন সংখ্যা ২৬৬টির মধ্যে নির্বাচন হয়েছে ২৬৫টিতে। সরকার গঠন করতে হলে অন্তত ১৩৩টি আসনে সেই দল বা জোটকে জয়ী হতে হবে।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে মামদানির জয়ে সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
কিন্তু নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমানে কারাবন্দি নেতা ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) ৯২টি আসন। এরপর রয়েছে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) ৭৫টি আসন, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৪টি আসন, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) ১৭টি আসন, জামায়াতে উলামায়ে ইসলাম- ফজলুর (জেইউআইএফ) ৪টি আসন এবং স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা পেয়েছেন ৯টি আসন।
অর্থাৎ কোনো দলই এককভাবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম আসন পায়নি। এই পরিস্থিতিতে জোট সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা শুরু হয় পিএমএলএন এবং পিপিপির মধ্যে। গত ৯ দিনে মোট ৫ বার বৈঠক হয়েছে এই দুই দলের মধ্যে, তবে সেই বৈঠক থেকে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
আরও পড়ুন: শহরের স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনে ট্রাম্পের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ: জোহরান মামদানি
মঙ্গলবারের বৈঠকে তৃতীয় দল হিসেবে যোগ দিয়েছিল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পার্টি (এমকিউএমপি)। দলটির কেন্দ্রীয় নেতা কামরান তেসোরি জানিয়েছেন, এমকিউএমপি পিএমএলএনকে সমর্থন করে এবং জোট সরকারের শরিক হতে আগ্রহী।
তিনি আরও জানান, পিএমএলএন এবং পিপিপির মধ্যে দ্বন্দ্ব মূলত সরকারি মন্ত্রণালয় ভাগাভাগি নিয়ে।
সাংবাদিকদের কামরান তেসোরি বলেছেন, ‘আসিফ আলি জারদারিকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেনে নিতে কারোর আপত্তি নেই, কিন্তু মন্ত্রণালয়ের বণ্টন নিয়ে এখনও কোনো সুরাহায় পৌঁছানো যায়নি’।





