দুই পরাশক্তির যুদ্ধে ভারতের পাশে ইসরাইল আর পাকিস্তানের পাশে তুরস্ক

Sadek Ali
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:০৪ অপরাহ্ন, ০৭ মে ২০২৫ | আপডেট: ১০:২৬ অপরাহ্ন, ১৩ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জেরে তৈরি উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে বুধবার ভোররাতে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি শহরে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত।

ভারতের বিমান হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রকাশ্যে এলো ইসরাইলের সমর্থন। ভারত এই অভিযানের নাম দিয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’।

আরও পড়ুন: ভারতের বিপক্ষে রায় আন্তর্জাতিক আদালতের, স্বাগত জানাল পাকিস্তান

বুধবার এক্স-এ এক বার্তায় ভারতে নিযুক্ত ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত রেউভেন আজার বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের জানা উচিত, তাদের জঘন্য অপরাধের জন্য কোনো নিরাপদ আশ্রয় নেই। ইসরাইল ভারতের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করে।’

মঙ্গলবার (৬ মে) দিবাগত রাতে চালানো এই হামলার প্রেক্ষাপট তৈরি হয় প্রায় দুই সপ্তাহ আগে। কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। এ হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত, যদিও ইসলামাবাদ তা সরাসরি অস্বীকার করেছে। এমনকি ভারতীয় রাজনীতিতেও এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিরোধী দল কংগ্রেসের দাবি, হামলার তিন দিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল।

আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে ৬৯ জন নিহত, মোট প্রাণহানি ৬০ হাজার ছাড়াল

মঙ্গলবার (৬ মে) দিবাগত রাতে চালানো এই হামলার প্রেক্ষাপট তৈরি হয় প্রায় দুই সপ্তাহ আগে। কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। এ হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত, যদিও ইসলামাবাদ তা সরাসরি অস্বীকার করেছে। এমনকি ভারতীয় রাজনীতিতেও এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিরোধী দল কংগ্রেসের দাবি, হামলার তিন দিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল।

নিউজ১৮ জানিয়েছে, ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যানুযায়ী সুনির্দিষ্টভাবে সন্ত্রাসী ঘাঁটি লক্ষ্য করেই এই হামলা চালানো হয়। পাকিস্তানি সামরিক স্থাপনায় কোনো হামলা হয়নি বলেই দাবি নয়াদিল্লির।

ইসরায়েল ভারতের পাশে দাঁড়ালেও ভিন্ন সুরে কথা বলেছে তুরস্ক। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দারকে ফোন করে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান এই হামলাকে ‘অপ্রস্তুত আগ্রাসন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তুরস্ক এবং পাকিস্তানের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে। দুই দেশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখবে বলে জানানো হয়।