লিবিয়া উপকূলে শরণার্থী নৌকায় অগ্নিকাণ্ড, নিহত কমপক্ষে ৫০

Sadek Ali
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:২৭ অপরাহ্ন, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১:২৭ অপরাহ্ন, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার উপকূলে সুদানি শরণার্থী বহনকারী একটি নৌকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৫০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, নৌকাটিতে মোট ৭৫ জন যাত্রী ছিলেন।

সংস্থাটির তথ্যমতে, দুর্ঘটনার পর ২৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তারা চিকিৎসা সহায়তা পাচ্ছেন। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা।

আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া স্বীকৃতি দিলো ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে

আইওএম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া বার্তায় বলেছে, “সমুদ্রপথে এ ধরনের মর্মান্তিক বিপর্যয় রোধে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।”

এর আগেও একাধিকবার একই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত মাসে ইয়েমেন উপকূলে নৌকাডুবিতে অন্তত ৬৮ জন শরণার্থী ও অভিবাসীর মৃত্যু হয়। আরও অনেকে নিখোঁজ হন।

আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৯১ ফিলিস্তিনি

আইওএমের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুধু গত বছরই ভূমধ্যসাগরে অন্তত ২ হাজার ৪৫২ অভিবাসী ও শরণার্থী মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে। ইউরোপমুখী সমুদ্রপথটি বিশ্বের অন্যতম প্রাণঘাতী রুট হিসেবে পরিচিত।

২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে লিবিয়া ইউরোপগামী অভিবাসীদের প্রধান ট্রানজিট পয়েন্টে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ৮ লাখ ৬৭ হাজার অভিবাসী অবস্থান করছে। তবে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও মিলিশিয়াদের সংঘাতে তারা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।

গত কয়েক মাসে ভূমধ্যসাগরে একের পর এক দুর্ঘটনায় বহু শরণার্থী ও অভিবাসী প্রাণ হারিয়েছেন। চলতি বছরের আগস্টে ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপের কাছে দুটি নৌকা ডুবে অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়। জুন মাসে লিবিয়া উপকূলে আরও দুটি জাহাজডুবিতে অন্তত ৬০ জন নিহত বা নিখোঁজ হন।

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, লিবিয়ায় আটক থাকা শরণার্থী ও অভিবাসীরা নিয়মিতভাবে নির্যাতন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির শিকার হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন যদিও অভিবাসন ঠেকাতে লিবিয়ার কোস্টগার্ডকে সহায়তা দিচ্ছে, তবুও তাদের বিরুদ্ধে মিলিশিয়াদের সঙ্গে যোগসাজশ এবং নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।

সংগঠনগুলোর মতে, ইউরোপের দেশগুলো সরকারি উদ্ধার অভিযান কমিয়ে দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। একই সঙ্গে সমুদ্রপথে উদ্ধারকাজে নিয়োজিত দাতব্য সংস্থাগুলোকেও নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হচ্ছে। এর ফলে অসংখ্য শরণার্থী লিবিয়ায় আটকা পড়ে অমানবিক জীবনযাপন করছে।