২৫ বিলিয়ন ডলারে ইরানে চার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বানাবে রাশিয়া

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:০১ পূর্বাহ্ন, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৬:০৫ অপরাহ্ন, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ইরান ও রাশিয়া নতুন করে ২৫ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যার আওতায় হরমোজগান প্রদেশের সিরিক এলাকায় চারটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানানো হয়।

চুক্তিটি হয়েছে ইরানের ‘হরমোজ কোম্পানি’ এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত পারমাণবিক সংস্থা ‘রোসাটম’-এর মধ্যে। প্রতিটি কেন্দ্রের উৎপাদনক্ষমতা হবে ১ হাজার ২৫৫ মেগাওয়াট। তবে প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।

আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি বন্দিদের নিয়ে পশ্চিম তীর ও গাজায় পৌঁছেছে কয়েকটি বাস

বর্তমানে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলে বুশেহরে একটি মাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রয়েছে, যার উৎপাদনক্ষমতা ১ হাজার মেগাওয়াট। দেশটির ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদার তুলনায় এটি খুবই অপ্রতুল।

চুক্তি স্বাক্ষরের এ সময়টিকে কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ইউরোপীয় দেশগুলো- ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি -২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ‘স্ন্যাপব্যাক’ নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের উদ্যোগ নিয়েছে, যা শনিবারের মধ্যে কার্যকর হতে পারে। শুক্রবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে চীন ও রাশিয়া ছয় মাস সময় দিয়ে নতুন আলোচনার প্রস্তাব দিলেও তা অনুমোদন পাওয়ার সম্ভাবনা অনিশ্চিত।

আরও পড়ুন: অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন যে তিন জন

পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। তবে তেহরান বারবার দাবি করেছে, তাদের কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এবং বেসামরিক জ্বালানি চাহিদা মেটানোর জন্যই নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালে ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে প্রথম পারমাণবিক শক্তি সহযোগিতা চুক্তি হয়। সেই অনুযায়ী বুশেহর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হয়, যা মূলত জার্মানি শুরু করলেও ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর স্থগিত হয়ে গিয়েছিল।