ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে এখনো ১১,৪৬০ জন ফিলিস্তিনি বন্দি

অবশেষে সম্পন্ন হলো ইসরায়েল–ফিলিস্তিনের বন্দিবিনিময় চুক্তি। যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে সোমবার দুই ধাপে ৩ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পেয়েছেন ইসরায়েলের কারাগার থেকে। তবে এখনো ১১,৪৬০ জন ফিলিস্তিনি অবৈধভাবে বন্দি রয়েছেন ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে—যাদের মধ্যে রয়েছে ৪০০ শিশু।
মঙ্গলবার রাজনৈতিক বন্দিদের ওপর নজরদারিকারী ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: মাদাগাস্কারের ক্ষমতা দখলে নিল সেনাবাহিনী
এর মধ্যেই যুদ্ধবিরতির ভেতরেও গাজা উপত্যকায় ৫ ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা।
বিবিসি, আলজাজিরা ও আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, গাজার সেজায়া এলাকায় ‘হলুদ সীমা’ অতিক্রমের অভিযোগে ওই পাঁচজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তবে তাদের কাছে অস্ত্র ছিল কি না, তা নিশ্চিত করেনি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
আরও পড়ুন: ভারতে চলন্ত বাসে আগুন, পুড়ে নিহত ১৯ যাত্রী
ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় কারাগার দপ্তরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, সোমবার মুক্তি দেওয়া বন্দিদের মধ্যে ১,৯৬৮ জন ছিলেন রামাল্লার পশ্চিমাংশে অবস্থিত ওফের কারাগারে, আর ১,৭১৮ জন ছিলেন দক্ষিণ ইসরায়েলের নাগেভ কারাগারে।
এই বন্দিদের মুক্তি কার্যক্রমে সহায়তা করেছে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেডক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (আইসিআরসি)।
ফিলিস্তিনের বেইতুনিয়া ও গাজার খান ইউনিস শহরে বন্দিদের স্বাগত জানাতে ভিড় করেন শত শত মানুষ।
মানবাধিকার সংস্থার তথ্যমতে, এখনো ইসরায়েলের কারাগারে রয়েছে ১১,৪৬০ ফিলিস্তিনি। এর মধ্যে—১,৪৬০ জন দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দি, ৩০৩ জন আজীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত, এবং ৪০ জনের বিরুদ্ধে আজীবন কারাদণ্ডের অভিযোগ প্রক্রিয়াধীন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস জানায়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার ও তার ঘনিষ্ঠ দূত স্টিভ উইটকফ গত বুধবার হামাস নেতাদের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করেন।
এই বৈঠকেই বন্দিবিনিময় ও যুদ্ধবিরতি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছে একাধিক কূটনৈতিক সূত্র।
এদিকে, ইসরায়েলি বাহিনীকে সহযোগিতা করার অভিযোগে গাজায় প্রকাশ্যে ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে হামাস।
তাদের একটি ফায়ারিং স্কোয়াডে গুলি করে হত্যা করা হয়। হামাস জানিয়েছে, এরা গোপনে ইসরায়েলকে তথ্য সরবরাহ করেছিল।
সূত্র: বিবিসি, আলজাজিরা, আনাদোলু এজেন্সি, নিউইয়র্ক টাইমস, টাইমস অব ইসরায়েল, অ্যাক্সিওস