পাকিস্তানের বিমান হামলায় নিহত তিন আফগান ক্রিকেটার

Any Akter
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন, ১৮ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে পাকিস্তানের বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত তিনজন আফগান ক্রিকেটার। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) জানিয়েছে, পূর্বাঞ্চলীয় পাকতিকার উরগন জেলা থেকে শরানা শহরে একটি প্রীতি ম্যাচে অংশ নিতে গিয়েছিলেন তারা।

এসিবি নিহতদের পরিচয় প্রকাশ করেছে কবির, সিবগাতুল্লাহ ও হারুন.নামে। হামলায় আরও পাঁচজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে পাকিস্তানের বিমান হামলায় নিহত ৪০

বোর্ডের বিবৃতিতে বলা হয়, উরগনে ফিরে আসার পর এক সমাবেশে তারা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন। এটি পাকিস্তানি সরকারের পরিচালিত এক কাপুরুষোচিত হামলা।

এই মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আগামী মাসে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে নির্ধারিত ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে নাম প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে।

আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির ঘণ্টা কয়েক পরই আফগানিস্তানে বিমান হামলা চালাল পাকিস্তান

বিবৃতিতে বলা হয়,উরগন জেলার সাহসী ক্রিকেটারদের শহিদ হওয়ার ঘটনায় আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। নিহতদের প্রতি সম্মান জানিয়ে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

আফগান টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক রশিদ খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, পাকিস্তানের বিমান হামলায় নারী, শিশু ও তরুণ ক্রিকেটার প্রাণ হারিয়েছেন। এটি জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

রশিদ আরও যোগ করেন, বেসামরিক স্থাপনায় এমন বর্বরোচিত হামলা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। আন্তর্জাতিকভাবে এর কঠোর নিন্দা হওয়া উচিত।

অন্য ক্রিকেটার মোহাম্মদ নবী বলেন, এটি শুধু পাকতিকার নয়, গোটা আফগান ক্রিকেট পরিবার ও পুরো জাতির জন্য এক গভীর ট্র্যাজেডি।

আরেক আন্তর্জাতিক পেসার ফজলহক ফারুকি ফেসবুকে লিখেছেন,নিরীহ বেসামরিক মানুষ ও ঘরোয়া ক্রিকেটারদের ওপর এই হত্যাযজ্ঞ ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।

আফগান গণমাধ্যম তোলোনিউজ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতের দিকে পাকিস্তান ধারাবাহিকভাবে উরগন ও বারমাল জেলায় বিমান হামলা চালায়, যাতে বহু বেসামরিক হতাহত হয়।

এই হামলার মাধ্যমে ইসলামাবাদ সদ্য হওয়া অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করেছে বলে অভিযোগ করেছে কাবুল সরকার।

এই প্রাণঘাতী হামলাগুলো এমন সময় ঘটেছে, যখন দুই দেশের মধ্যে ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি কার্যকর ছিল। শনিবার দোহায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত নিরসন সংলাপ শুরু হওয়ার কথা ছিল।