ঘূর্ণিঝড় কালমায়েগির তাণ্ডবে ফিলিপাইন বিধ্বস্ত, মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়াল
ফিলিপাইনে ঘূর্ণিঝড় কালমায়েগি তাণ্ডবে প্রাণহানির সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) সেবু প্রদেশে ঝড়ের প্রভাব স্পষ্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃতের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান।
একদিন আগেই নজিরবিহীন বন্যার পানি প্রদেশের কেন্দ্রীয় শহর ও আশপাশের এলাকায় ঘরবাড়ি, গাড়ি এবং বিশাল জাহাজের কন্টেইনার ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে প্রথম মুসলিম মেয়র জোহরান মামদানি
সেবু প্রদেশের সরকারি মুখপাত্র রোন রামোস জানিয়েছেন, প্রাদেশিক রাজধানীর মেট্রো এলাকার লিলোয়ান শহরের বন্যা কবলিত এলাকা থেকে ৩৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে সেবু প্রদেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৬ জনে।
পুলিশ কর্মকর্তা স্টিফেন পোলিনার জানান, টানা বৃষ্টিপাতের ফলে নেগ্রোস দ্বীপে কমপক্ষে ১২ জন নিহত এবং আরও ১২ জন নিখোঁজ। ক্যানলাওন শহরের বাড়িঘর মাটিচাপা পড়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, গত বছর থেকে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে জমে থাকা উপাদান বৃষ্টিপাতে পার্শ্ববর্তী গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন পারমাণবিক চালিত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে রাশিয়া: পুতিন
দুর্যোগের সময় ত্রাণ অভিযানে অংশ নেওয়া একটি সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ছয় জন ক্রু সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।
সেবুর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বন্যার পানি প্রচণ্ডভাবে বাড়ায় কোনো কিছু দেখা যাচ্ছিল না। ৫৩ বছর বয়সী রেনাল্ডো ভার্গারা বলেন, “ভোর চারটা বা পাঁচটার দিকে পানি এত তীব্র ছিল যে বাইরে কিছু দেখা যাচ্ছিল না। এরকম ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি।”
দেশটির আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ চারমাগনে ভারিলা জানিয়েছেন, কালমাগির ভূমিধ্বসের ২৪ ঘণ্টা আগে সেবু সিটির আশেপাশের এলাকা ১৮৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে প্লাবিত হয়, যা মাসিক গড়ের ১৩১ মিলিমিটারেরও বেশি।
বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন যে, মানব-সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘূর্ণিঝড়গুলো আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে।





