শীতে গলা–বুকের অস্বস্তি কমাতে যেসব মসলা কার্যকর
শীতের মৌসুম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেরই গলা ও বুকে অস্বস্তি দেখা দেয়। শুষ্ক ও দূষিত বাতাসে শ্বাস নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে, বেড়ে যায় কাশি, গলায় জ্বালা বা বুকে চাপ অনুভূত হয়। তবে এই সময় ঘরেই থাকা কিছু ভেষজ ও মসলা প্রাকৃতিকভাবে এসব সমস্যা উপশমে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। বিশেষজ্ঞদের উল্লেখ করা এমনই কয়েকটি ভেষজ ও মসলা সম্পর্কে জানা যাক—
আরও পড়ুন: জেনে নিন কোন খাবারে লুকিয়ে আছে হৃদরোগের ঝুঁকি
১. হলুদ
আরও পড়ুন: শীতে কেন বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি? আগেই মিলতে পারে বিপদের সঙ্কেত
গলা ও বুকের অস্বস্তি কমাতে হলুদ দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ২০২৩ সালের একটি গবেষণাপত্রে দেখা গেছে, হলুদের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও প্রদাহ-বিরোধী গুণ দূষিত বাতাসের কারণে সৃষ্ট জ্বালা প্রশমনে সহায়ক। উষ্ণ হলুদ পানি বা হলুদ দুধ গলায় আবরণ তৈরি করে শুষ্কতা কমায় এবং তাৎক্ষণিক উষ্ণতা দেয়। এটি কফ কমাতেও কার্যকর।
২. আদা
আদার প্রাকৃতিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা রয়েছে। ২০১৮ সালের একটি গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, আদা শ্বাসনালীর প্রদাহ কমিয়ে শ্লেষ্মা পরিষ্কার করতে সহায়তা করে এবং কাশি কমায়। আদা চা কিংবা মধু দিয়ে কাঁচা আদা খেলে তা দ্রুত আরাম দিতে পারে।
৩. তুলসিপাতা
তুলসি শীতের মৌসুমে গলা ও শ্বাসকষ্টের জন্য একটি ঐতিহ্যবাহী কার্যকর ভেষজ। ২০২৩ সালের গবেষণা অনুযায়ী, তুলসির অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ও প্রদাহ-বিরোধী গুণ গলার চুলকানি দূর করে এবং বুককে প্রশমিত করে। তুলসি চা বা তুলসির রস মিশ্রিত পানি শুষ্ক কফ দূর করতে সহায়তা করে।
৪. গোল মরিচ
গোল মরিচ শ্লেষ্মা দূর করতে সাহায্য করে এবং শ্বাসনালীতে বায়ুপ্রবাহ উন্নত করে। স্যুপ বা উষ্ণ পানিতে মধুর সঙ্গে গুঁড়া গোল মরিচ মিশিয়ে খেলে গলার আরাম পাওয়া যায়। পাশাপাশি এটি রক্তসঞ্চালন বাড়ায়, যা বাইরের দূষিত বাতাসে থাকার পর বুকের চাপ কমাতে সহায়ক।
শীতের এই মৌসুমে বাড়তি সতর্কতা ও ঘরোয়া যত্নে অনেকটাই গলা–বুকের অস্বস্তি কমানো সম্ভব।





