বৃদ্ধ বয়সে ডিমেনশিয়া এড়াতে গড়ে তুলুন ১০টি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস
চল্লিশ বছর বয়স পার হওয়া মানেই জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে পা রাখা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রম সাধারণত বার্ধক্যে প্রকাশ পেলেও এর প্রক্রিয়া শুরু হয় মধ্যবয়স থেকেই। তাই চল্লিশের পর জীবনযাত্রায় কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আনলে মস্তিষ্কের ক্ষয় রোধ করা এবং স্মৃতিশক্তি দীর্ঘদিন সতেজ রাখা সম্ভব।
আরও পড়ুন: লাল বনাম সবুজ আঙুর: কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর?
চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, মস্তিষ্ককে কর্মক্ষম রাখতে এবং ডিমেনশিয়া দূরে রাখতে নিচের ১০টি অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি—
আরও পড়ুন: শীতে হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যথায় পেইনকিলার নয়, উপকার দেবে এই ৫ ঘরোয়া উপায়
- নিয়মিত শরীরচর্চা: হাঁটা, দৌড়ানো বা সাঁতার কাটার মতো অ্যারোবিক ব্যায়াম মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং স্মৃতির অংশকে সক্রিয় রাখে। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম স্নায়ুর স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
- স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: খাবারে সবুজ শাকসবজি, বেরি জাতীয় ফল, বাদাম, ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছ ও অলিভ অয়েল রাখুন। অতিরিক্ত চিনি, লবণ ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
- নতুন কিছু শেখা: নতুন ভাষা, বাদ্যযন্ত্র বা সৃজনশীল কাজ মস্তিষ্কের নিউরনের সংযোগ বাড়ায় এবং ‘কগনিটিভ রিজার্ভ’ তৈরি করে।
- পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতিদিন ৭–৮ ঘণ্টা গভীর ঘুম স্মৃতি সংরক্ষণে সহায়তা করে এবং মস্তিষ্ক থেকে ক্ষতিকর প্রোটিন দূর করে।
- সামাজিক যোগাযোগ: বন্ধু ও আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা একাকীত্ব ও বিষণ্ণতা কমায়, মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে।
- রক্তচাপ ও শর্করা নিয়ন্ত্রণ: উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস মস্তিষ্কের ক্ষুদ্র রক্তনালীর ক্ষতি করে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি।
- শ্রবণশক্তির যত্ন: শ্রবণশক্তি কমে গেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাও কমে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- মানসিক চাপ কমানো: দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ মস্তিষ্কের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত করে। ধ্যান ও শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম সহায়ক।
- ধূমপান ও মদ্যপান বর্জন: ধূমপান ও অতিরিক্ত অ্যালকোহল স্নায়ুতন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি করে।
- মস্তিষ্কের খেলা: সুডোকু, দাবা বা শব্দজট সমাধান মস্তিষ্কের চিন্তাশক্তি বাড়ায়।
চিকিৎসকরা বলছেন, ডিমেনশিয়া কোনো অনিবার্য পরিণতি নয়। বরং নিয়মিত ও সচেতন জীবনযাত্রার মাধ্যমে একে অনেকাংশেই প্রতিরোধ করা সম্ভব। চল্লিশের পর থেকেই সচেতন হলে বার্ধক্যেও স্মৃতিশক্তি থাকবে স্বচ্ছ ও প্রখর।





