ঈদে লঞ্চে উঠবে না বাইক, বাল্কহেড বন্ধ ১১ দিন

এবারের ঈদযাত্রায় লঞ্চে উঠবে না মোটরসাইকেল। যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নৌপথে লঞ্চ ও ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখা ও দুর্ঘটনা এড়াতে ১১ দিন নদীতে বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন নৌপুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি শফিকুল ইসলাম।
রোববার (৯ এপ্রিল) গুলশানে নৌপুলিশ হেডকোয়াটার্সের কনফারেন্স রুমে পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষ্যে নৌপথে আইন শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
তিনি জানান, ‘১৭ এপ্রিল-২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ১১ দিন বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। লঞ্চ চলাচলের সময় মাছ ধরার জাল যাতে ছড়ানো না থাকে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। এধরনের কোনো কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নিতে হবে।’
শফিকুল ইসলাম আরও জানান, খেয়া নৌকা দিয়ে পারাপার সাবধানতার সঙ্গে করতে হবে। এ সময়ে লঞ্চ চলাচল ও মালামাল আনা নেওয়া বেড়ে যায়। যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে বিদেশ যেতে দেয়া হয়নি
‘শেষ সময়ে গার্মেন্টসগুলোতে ছুটি হয়। সে কারণে লঞ্চে চাপ বাড়বে। চাঁদপুর, বরিশালসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় যাত্রীর চাপ পড়ে। তাই এসময়ে লঞ্চে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা থেকে বিরত রাখতে হবে। আইন কঠোরভাবে পালন করার চেষ্টার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আইন প্রয়োগ না করলে সঠিকভাবে কিছু হয় না।’
এসময় লঞ্চ মালিকদের থেকে জানানো হয়, আমরা মোটরসাইকেল বহন করব না। এজন্য লঞ্চঘাটে মোটরসাইকেল যাতে না প্রবেশ করতে পারে সে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
এছাড়া, সদরঘাটে বিআইডব্লিওটিএর পার্কিং লটে স্থানীয় ফলের গাড়ি, ভ্যান ও বিভিন্ন ধরনের বাহন দিয়ে ভর্তি থাকে। এর ফলে কোনো প্রাইভেট গাড়ি যাত্রী নিয়ে আসতে পারে না। যাতে এই পার্কিং গাড়ির জন্য ব্যবহার করা যায় সে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।