ইসির নিবন্ধন পাচ্ছে বিএনএম ও বিএসপি, পাচ্ছে না গণঅধিকার পরিষদ

MIZANUR RAHMAN
বাংলাবাজার পত্রিকা রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২:৩৮ অপরাহ্ন, ১৬ জুলাই ২০২৩ | আপডেট: ১০:১২ পূর্বাহ্ন, ১৬ জুলাই ২০২৩
ফাইল ফটো
ফাইল ফটো

দশটি দলকে টপকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধনে টিকে রইল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি)। আর একটি স্টেপ টপকাতে পারলেই ইসির চূড়ান্ত নিবন্ধন পাবে দল দুটি। অপরদিকে গণ-অধিকার পরিষদ ও এবি পার্টি নিবন্ধন দৌড়ে আপাতত ছিটকে পড়েছে।

রোববার (১৬ জুলাই) বৈঠকে যে দুটি দলকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে, সেখানে নেই আলোচিত এই দুটি দলের নাম।

আরও পড়ুন: ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে মালয়েশিয়ার ইউকেএম-এর সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান

ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন, সব তথ্য উপাত্ত যাচাই বাছাই করে নিবন্ধনের জন্য দুটি দলের বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। দলগুলোর বিষয়ে সোমবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। একটি হলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি- বিএসপি।

তিনি বলেন, ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কারো কোনো আপত্তি আছে কি না জানা হবে। এরপর আপত্তি নিষ্পত্তি করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হালাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক স্থাপনে মালয়েশিয়ার সহায়তা চেয়েছে

এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, মাঠ পর্যায়ে অফিস, কমিটি ও আইনগত বিষয় দেখা হয়েছে। এই দুটি দলের ক্ষেত্রে আমাদের জেলা, উপজেলা কমিটি পাওয়া গেছে। প্রাথমিক বাছাইয়ের পর ১২টি দলের মধ্যে ১০টি দলের আবেদন যাচাই করে মাঠ থেকে পাওয়া তথ্যের সঙ্গে গড়মিল পাওয়া গেছে।

তিনি আরও বলেন, যারা আবেদন করেছিলেন সেগুলোর মধ্যে দুটি দলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আপত্তি আসলে শুনানি শেষে সিদ্ধান্ত হবে নিবন্ধন পাবে কি, পাবে না।

এবার নিবন্ধন পেতে মোট ৯৩টি দল আবেদন করে। এদের মধ্যে প্রাথমিক বাছাইয়ে টেকে ১২টি দল। এগুলো হচ্ছে- এবি পার্টি (আমার বাংলাদেশ পার্টি), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি (বিএইচপি), গণঅধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি), ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডি)।

এসব দলের সব কমিটি ও কার্যালয় পরবর্তীতে যাচাই করে নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটি। কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে ওই দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিল ইসি। আর বাদ পড়লো বাকি ১০টি দল। আদালতে যাওয়া ছাড়া এদের নিবন্ধন পাওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই।

বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৪১টি। তাদের সঙ্গে আরও দুটি দল যোগ হতে যাচ্ছে। ইসির নিবন্ধন ছাড়া কোনো নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে অংশগ্রহণ করা যায় না।