'জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় অর্থ পেতে বিসিডিপি গঠন করবে সরকার'

Abid Rayhan Jaki
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:৪৯ অপরাহ্ন, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | আপডেট: ২:৪০ অপরাহ্ন, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় অর্থ পেতে সরকার বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব (বিসিডিপি) গঠন করতে যাচ্ছে। মন্ত্রী বলেন,  উন্নয়ন সংস্থাগুলো বিচ্ছিন্নভাবে নানা প্রতিষ্ঠানকে জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় অর্থ দিয়ে আসছে। এ ক্ষেত্রে কোন শৃংখলা না থাকায় সেই অর্থের সদ্ব্যবহার হচ্ছে না। সরকারের সাথে উন্নয়ন অংশীদারদের সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করতে এই প্লাটফর্ম ভূমিকা রাখবে। 

রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ (বিসিডিপি) বিষয়ে ডেভেলপমেন্ট পার্টনারদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন।

আরও পড়ুন: সরকারি কর্মচারীদের বেতন সমন্বয়ে জাতীয় বেতন কমিশনের প্রথম সভা আজ

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব  তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া।  অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং বাংলাদেশের এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন বিসিডিপি বাস্তবায়নের নির্দেশনা উপস্থাপন করেন। এছাড়াও, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ বক্তব্য  রাখেন। 

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ২০৫০ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশের দরকার ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ডেলটা প্ল্যান বাবদ ৪৭ বিলিয়ন, ন্যাশনাল এডাপটেশান প্ল্যান বাবদ ২৩০ বিলিয়ন, মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান বাবদ ৯০ বিলিয়ন আর ন্যাশনাল ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন বাস্তবায়নে দরকার ১৭৬ বিলিয়ন ডলার।  আমাদের  লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম করে এমন বিনিয়োগগুলি অর্জনের জন্য, আমরা উল্লেখযোগ্য অর্থনীতি এবং অংশীদারদের সাথে কাজ করতে আগ্রহী। উন্নয়ন সংস্থাগুলো এক সাথে কাজ করলে সমস্যার সমাধান সহজ হবে। 

আরও পড়ুন: সেনাবাহিনী প্রধানের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই: আইএসপিআর

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এই অংশীদারিত্ব সরকারকে বৈশ্বিক জলবায়ু তহবিল থেকে জলবায়ু অর্থ সংগ্রহে সহায়তা করতে পারে, যার ফলে সামগ্রিক বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থ কাঠামোর উন্নতি ঘটবে।  এটি অপরিহার্য যে সরকার এই সুযোগটিকে তার পূর্ণ সম্ভাবনার সাথে ব্যবহার করবে, কারণ এটি জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে লড়াই করার এবং তার নাগরিকদের জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করার দেশের ক্ষমতার উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।