বিপুল পরিমাণ কুশ, সিসা ও ইয়াবা উদ্ধার, আটক ৭
ভয়ঙ্কর মাদক আমদানির নেপথ্যে একাধিক শিল্প গ্রুপ

একদল তরুণ দেশের বাইরে থেকে অত্যাধুনিক মাদক ক্যানাবিনলযুক্ত কুশ দেশে নিয়ে আসছে। এমন তথ্যে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ কুশ, সিসা ও ইয়াবা উদ্ধার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো (উত্তর) সার্কেলের একটি চৌকষদল। এ সময় ভয়ংকর এ মাদক বিক্রি এবং বিদেশ থেকে আনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার ( ১৮ অক্টোবর) দুপুরে অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রাহুল সেন এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
তিনি বলেন, ধারাবাহিক অভিযানে উন্নত প্রযুক্তিতে পারর্দশী উচ্চশিক্ষিত ও উচ্চবিত্ত শ্রেণীর একদল তরুণ দেশের বাইরে থেকে অত্যাধুনিক মাদক দেশে এনে সম্ভাবনাময় তরুণ সমাজের মাঝে বিভিন্ন কৌশলে বিক্রি করছে। কয়েকটি চক্ররে সদস্যদের গুলশান, ভাটারা ও মগবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ ক্যানাবিনলযুক্ত কুশ, এক্সটাসি (MDMA), ট্রেট্টাহাইড্রোকানাবিনল (THC), সিশা ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় ৭ জনকে। তারা আন্তর্জাতিক ডাকযোগে খাদ্য সামগ্রীর আড়ালে ভয়ংকর সব মাদক পাচারের কাজে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, উদ্ধারকৃত মাদকের মধ্যে কানাডা থেকে আমদানি করা টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনলযুক্ত মাদক( কুশ) ৭৭২ গ্রাম। যুক্তরাজ্য থেকে আমদানি করা মাদকদ্রব্য MDMA যার বাণিজ্যিক নাম এক্সটাসি/হ্যাপি ড্রাগ ১৫০ পিস। হাল ফ্যাশনের অভিজাত মাদক ৩৯ কেজি সিশা এবং ৩০০০ হাজার পিস ইয়াবা। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো সৈয়দ আনিম আশরাফুল হক, মিজানুর রহমান, মোঃ মাসুদুর রহমান, অরিন্দম রায়, তুফাইল আহাম্মদ, মোহাম্মদ শোয়াইব ও মোহাম্মদ আহম্মদ। চক্রের আরো বেশ কয়েকজনের নাম পেয়েছে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। মাদকদ্রব্যের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান দেশে ভয়ংকর এসব মাদক আমদানির পিছনে রয়েছে দেশের একাধিক প্রতিষ্ঠিত শিল্প গ্রুপ এবং তাদের কর্মকর্তারা। মাদক নিয়ন্ত্রণের গোয়েন্দা বিভাগ শিল্প গ্রুপের দ্বনাঢ্য সন্তানদের চিহ্নিত করেছে। খুব দ্রুতই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আটক করা হবে বলে জানান।যারা দীর্ঘদিন ধরে ভয়কর এ মাদক আমদানি করে দেশে নিয়ে এসে রাজধানীর অভিজাত এলাকায় রমরমা বেচা বিক্রি করে আসছে।
আরও পড়ুন: আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে বিদেশ যেতে দেয়া হয়নি
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পরিদর্শক দেওয়ান মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান ও উপপরিদর্শক, মোঃ রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ মোতাবেক সংশ্লিষ্ট থানায় ৩ টি মামলা দায়ের করেছেন।