গাজীপুর মেট্রোর সাবেক কমিশনারসহ চার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা আটক

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার পত্রিকার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৬:০৬ অপরাহ্ন, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | আপডেট: ৩:১৬ অপরাহ্ন, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ পুলিশের একজন ডিআইজি ও তিনজন পুলিশ সুপারকে আটক করা হয়েছে। রাজশাহী রংপুর নীলফামারীসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে আনা হয়েছে। 

পুলিশের বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত বারোটার পর নীলফামারীর ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ আটক করে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়। দুপুরের পর তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে আনা হয়। 

আরও পড়ুন: জুলাই সনদ বাস্তবায়ন অধ্যাদেশ নিয়ে কমিশনের পুনরায় বৈঠকের দাবি রাষ্ট্র সংস্কারের

তারপর রাজশাহী সারদা একাডেমিতে সংযুক্ত থাকা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. নজরুল ইসলামকে আটক করা হয়। রাজশাহী জেলা পুলিশ অ্যাকাডেমির সহায়তায় তাকে আটক করে ঢাকার গোয়েন্দা কার্যালয়ে প্রেরণ করে। 

এছাড়াও রংপুর রেঞ্জের সংযুক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান ও আবুল হাসনাতকে আটক করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। পুলিশ সূত্র জানায়, আটক ডিআইজি মোল্লা নজরুল ইসলাম গাজীপুর মেট্রোপলিটনের সাবেক কমিশনার ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। একটা সময় তার বিরুদ্ধে খুন-ঘুমসহ অনৈতিকভাবে শক্তি প্রয়োগের অনেক অভিযোগ উঠেছিল। 

আরও পড়ুন: জুলাই সনদ নিয়ে তীব্র বিরোধ দুরূহ চ্যালেঞ্জ এনে দিয়েছে সরকারের সামনে: আসিফ নজরুল

২৭ ব্যাচের পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত বাগেরহাটের পুলিশ সুপার থাকাকালীন ২০২৪ সালের নির্বাচন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন। 

পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান কুমিল্লা ও সিলেটে এসপি থাকাকালীন নির্বাচন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শক্তি প্রয়োগ করেন। এর আগে সিটি টিসিতে পুলিশ সুপার থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে জঙ্গি নাটক সাজানোর একাধিক অভিযোগ রয়েছে।  আসাদুজ্জামান ২৫ ব্যাচের কর্মকর্তা নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন। নির্বাচন ও পরবর্তীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শক্তি প্রয়োগ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে ব্যাপক সমালোচিত ছিলেন। জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানের পর তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। তাদেরকে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত রাখা হয়। 

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক তিনজন পুলিশ সুপারকে ডিবি কার্যালয়ে আটকের কথা স্বীকার করে বলেন, আমি বাহিরে আছি আপনাদেরকে পরে জানানো হবে।