ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া এবং পরিবহণ সেক্টরে চাঁদাবাজি কঠোর হস্তে দমন করতে হবে: শিমুল বিশ্বাস

Sanchoy Biswas
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৮:৫৭ অপরাহ্ন, ১৯ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ১:২৫ অপরাহ্ন, ১০ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী এবং জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয়ক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেছেন, ঈদ আসলেই জন দুর্ভোগে পড়েন ঈদমুখো মানুষ। অতীতে ঈদে বাড়ি যাওয়ার পথে মানুষের ভোগান্তি দেখেছি, পথে অভুক্ত থেকেছেন। তখন তাদের মনের ভিতর থেকে একটি অভিশাপ আছে।ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করা আমাদের ইবাদতের অংশ হবে।

তিনি বলেন, ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া এবং পরিবহণ সেক্টরে চাঁদাবাজি নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। অতিরিক্ত ভাড়া এবং পরিবহণ সেক্টরে চাঁদাবাজি কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। 

আরও পড়ুন: আয়কর রিটার্নে ‘জিরো রিটার্ন’ নামে কোনো ব্যবস্থা নেই: এনবিআর

বুধবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে আসন্ন ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করার জন্য পুলিশ বিভাগ, বিআরটিএ এবং পরিবহণ মালিক শ্রমিকদের ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসাবে ফুলবাড়িয়া-গুলিস্তান বাস টার্মিনাল  সংশ্লিষ্ট শ্রমিক মালিকদের করণীয় নির্দেশনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

শিমুল বিশ্বাস বলেন, এয়ারপোর্টে প্রবাসীরা যখন হয়রানির শিকার হোন, তা গোটা দেশের উপর পড়ে। তেমনি পরিবহণ সেক্টরে কিছু চাঁদাবাজের জন্য পুরো পরিবহণ সেক্টর এর দায় নিতে পারে না। বিগত সরকারের সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ পরিবহণ মালিক-শ্রমিকরাও মামলা এবং হয়রানি থেকে রেহাই পায়নি। সেই ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীকে আমরা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীদার হিসেবে পেতে চাই। এর জন্য চাঁদাবাজ ও দখলবাজমুক্ত রাষ্ট্র গঠনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান শিমুল বিশ্বাস। 

আরও পড়ুন: ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করতে সংগ্রহ করা হচ্ছে ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা

সভায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, রেললাইনে বেশ আগে থেকে সিগন্যাল যেন না দেয়, পুরোনো বাস যাতে চলতে না পারে সে বিষয়ে আমরা গুরুত্ব দিবো। বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড থেকে গাড়ি বের হওয়ার সময় ওয়ান ওয়ে নিশ্চিত করে ব্যাপকভাবে মোবাইল কোর্ট বিস্তৃতি করা হবে।

বক্তারা ঈদের আগেই গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ভাতা নিশ্চিত করার জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে করে বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করতে না পারে। লঞ্চঘাট, রেলস্টেশনে, মার্কেট এবং বিপণীকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে বলেও জানান প্রশাসনের কর্মকর্তারা। 

এতে বক্তব্য রাখেন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সরোয়ার হোসেন, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এনামুল হক, ট্র্যাফিক বিভাগের ডিসি (মতিঝিল) জালাল উদ্দিন, মালিক সমিতির সাইফুল ইসলাম, আব্দুল বাতেন, শ্রমিক ফেডারেশনের আব্দুর রহিম বক্স প্রমুখ। সভায় আসন্ন ঈদে নিরাপদে ঘরে ফেরা ও ফিরে আসা নির্বিঘ্ন করার জন্য মহাখালী , গাবতলী, সায়দাবাদ, গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়া, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, কমলাপুর রেল স্টেশনসহ ঢাকা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান সিসিটিভি ও ইলেকট্রনিক মনিটরিংয়ের আওতায় আনার আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায়  গৃহীত সিদ্ধান্তের কথা পুলিশ, বিআরটিএ, মালিক, শ্রমিক, যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট  সকলকে অবহিত করা হয়।