দুদকের মামলায় তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমান খালাস: হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা সম্পদ সংক্রান্ত মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের খালাসের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। সোমবার (১৪ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৫২ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।
রায়ে বলা হয়েছে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা অভিযোগের সপক্ষে প্রমাণ হাজির করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এই ভিত্তিতে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা বাতিল করে উচ্চ আদালত তাদের খালাস প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে নিবার্চন: সিইসি
এর আগে, জোবাইদা রহমানের আপিলের শুনানি শেষ হয় ২৬ মে। শুনানি শেষে আদালত ২৮ মে রায়ের দিন ধার্য করে। শুনানিতে জোবাইদার পক্ষে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী এস. এম. শাহজাহান, কায়সার কামাল এবং জাকির হোসেন ভূঁইয়া। অন্যদিকে, দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
রায়ের পর দুদকের আইনজীবী আসিফ হাসান জানান, “জোবাইদা রহমানের আপিল মঞ্জুর করে হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করেছেন। তারেক রহমানের ক্ষেত্রেও একই রায় প্রযোজ্য, কারণ অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।”
আরও পড়ুন: ৮ কোটি ২০ লাখ টাকা ফেরত পেয়েছেন হজযাত্রীরা
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় তারেক রহমান, জোবাইদা রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলাটি করে দুদক। ২০০৮ সালে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত রায় দেন, যেখানে তারেক রহমানকে দুটি ধারায় ৯ বছরের এবং জোবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
পরে, ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে জোবাইদা রহমানের দণ্ড এক বছরের জন্য স্থগিত করে।
২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তারেক রহমানের সঙ্গে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান জোবাইদা রহমান। দীর্ঘ নির্বাসন শেষে গত ৬ মে তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফেরেন। দেশে ফিরে আপিল দায়ের করতে ৫৮৭ দিন বিলম্বের কারণ দেখিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। আদালত বিলম্ব মঞ্জুর করে ১৩ মে তা গ্রহণ করেন এবং ১৪ মে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ ও জামিন মঞ্জুর করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট আজ রায় প্রকাশ করলো।