ডিসিদের বাদ দিয়ে ইসি থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের দাবি বিএনপির

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:২৬ অপরাহ্ন, ১৯ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৬:৫৪ অপরাহ্ন, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান দাবি করেছেন, ডিসিদের বাদ দিয়ে সরাসরি নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হোক।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকাল-দুপুর ২:১৫ মিনিটে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসি’র সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার আপনাদের (ইসি) মধ্য থেকে নিযুক্ত হোক।”

আরও পড়ুন: আমিরাতে বন্দি বাকি ২৪ বাংলাদেশি অচিরেই মুক্তি পাচ্ছেন

সংলাপে অংশ নেওয়া অন্যান্য দলগুলো হলো: বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি), নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি (বিআরপি) এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ (মার্কসবাদী, নতুন দল)।

মঈন খান আরও বলেন, “বাংলাদেশ ক্রান্তিকাল পার করছে। এই সময়ে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা নিয়ম-কানুন মেনে নির্বাচন করবো এবং নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে চলবো।”

আরও পড়ুন: ‘গোয়েন্দা টিম গঠন করেন, লোক সাপ্লাই দেব’ ওসিকে জামায়াতের প্রার্থীর মন্তব্যে বিতর্ক

তিনি প্রার্থীর অঙ্গিকানামা বিষয়েও মন্তব্য করেন, “এবার প্রার্থীর অঙ্গিকানামা দিতে হবে, যা আগে ছিল না। ইসি যত বেশি নিয়ম-কানুন বাড়াবে, তত বিষয়টি জটিল হবে।” এছাড়া তিনি বলেন, ধর্মকে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার না হওয়ার বিষয়েও নজর রাখতে হবে।

এদিকে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান দাবি করেন, জাতীয় পার্টিসহ স্বৈরাচারের সহযোগীদের সঙ্গে যেন ইসি সংলাপ না করে এবং তাদের নির্বাচনের সুযোগ না দেওয়া হয়। এছাড়া তিনি অনুরোধ করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো উপদেষ্টা ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, এজন্য ইসি ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

সংলাপের শুরুতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, “আমরা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সুন্দর নির্বাচনের জন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই। ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসার জন্য ভূমিকা রাখার আশা করি।”

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হওয়া সকালের অধিবেশনে সংলাপে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ সংখ্যালঘু জনতা পার্টি (বিএমজেপি), ইনসানিয়ত বিপ্লব, এনসিপি, গণসংহতি আন্দোলন এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)।