তৃণমূলে যোগ দিয়েই খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইলেন দলের মহাসচিব তৈমুর

বাংলাবাজার পত্রিকা রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১২:০৩ অপরাহ্ন, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | আপডেট: ৭:৫১ পূর্বাহ্ন, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

নতুন উদ্যমে যাত্রা শুরু করল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল তৃণমূল বিএনপি। বিএনপির দলছুট ও বহিষ্কার হওয়া নেতারা ভিড়েছেন প্রয়াত মন্ত্রী নাজমুল হুদার প্রতিষ্ঠিত দলটিতে। তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়েই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারামুক্তি চেয়েছেন দলটির সাবেক নেতা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।

তৈমুর আলম বলেন, ‘আমি একটি দল থেকে এখানে এসেছি। আমি বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও মুক্ত জীবন কামনা করছি।’ পরে বক্তব্যের একপর্যায়ে তৈমুর আলম নিজেই মোনাজাত ধরেন।

আরও পড়ুন: তড়িঘড়ি করে দুটি আইন পাশ করাতে চায় সরকার: ফখরুলের প্রতিবাদ

মঙ্গলবার রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে তৃণমূল বিএনপির প্রথম সম্মেলন ও কাউন্সিলে এসব কথা বলেন তৈমুর আলম।

তৈমুর আলম বলেন, বিএনপি আমাকে বহিষ্কার করেছে। এরপর আমি দেড় বছর অপেক্ষা করেছি একটা শোকজ নোটিশের জন্য। আমাকে কেন বহিষ্কার করা হয়েছে, জানান। কিন্তু তা করা হয়নি।

আরও পড়ুন: যারা ধর্ম ও মুক্তিযুদ্ধকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে তাদের কাছে দেশ নিরাপদ নয় : সালাম আজাদ

তিনি আরও বলেন, তৃণমূল বিএনপি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হবে না। এখানে কাউকে অবজ্ঞা বা অবহেলা করা হবে না। দলে আলোচনা করে আগামী জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান দলটির নতুন এই মহাসচিব।

এর আগে গতকাল সকালে তৃণমূল বিএনপির সম্মেলনে যোগ দেন বিএনপি থেকে বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার।

তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়েই দলটির শীর্ষ নেতৃত্বে আসেন তারা। শমসের মবিন চৌধুরী তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন এবং তৈমুর আলম দলটির মহাসচিব নির্বাচিত হন।

এ ছাড়া তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত নাজমুল হুদার মেয়ে অন্তরা সেলিমা হুদাকে দলটির নির্বাহী চেয়ারপারসন নির্বাচিত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ব্যারিস্টার নাজমূল হুদা ‘তৃণমূল বিএনপি’ প্রতিষ্ঠা করেন। ২০২৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি দলটি নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পায়। এর তিনদিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি মারা যান নাজমুল হুদা। তার মৃত্যুর পর ১৬ মে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন তার মেয়ে ব্যারিস্টার অন্তরা হুদা।