নির্বাচনের সময় বেঁধে দিয়ে সরকারকে চাপ দিতে চাই না : আমীর খসরু

বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৮:১১ অপরাহ্ন, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ৩:৩২ অপরাহ্ন, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

নির্বাচনের জন্য সময় বেঁধে দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে চাই না বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
গতকাল অস্ট্রেলিয়া হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসনের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকেদর এ কথা বলেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, অষ্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনার জানতে চেয়েছে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বিএনপি কী ভাবছে ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একমাস কেমন হয়েছে। এ সময়ে আমাদের দলের কী প্রত্যাশা ও অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে দু'দেশের মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই অঞ্চলের জিও পলিটিক্স ও রোহিঙ্গা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দু'দেশেরর শিক্ষা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আপনারা জানেন অস্ট্রেলিয়ায় আমাদের অনেক ছাত্র পড়াশোনা করছে তাদের শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়ে তারা আরও কী ভূমিকা রাখতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে কবে নির্বাচন হবে, নির্বাচনের জন্য কত সময় লাগতে পারে তা জানতে চেয়েছে। নির্বাচনের আয়োজনের জন্য কী কী পরিবর্তন প্রয়োজন তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মূলত সার্বিকভাবে আলোচনা শেষে যত তাড়াতাড়ি নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে সেটা আলোচনা হয়েছে।
নির্বাচন নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট সময়ের কথা বলেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা তো যৌক্তিক সময়ের কথা বলেছি। যৌক্তিক সময়ের পরিধি যারা স্টেকহোল্ডার আছে তারা বিবেচনা করবে। আমরা একটা সময় বেঁধে দিয়ে তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাই না। আমরা সরকার সফলভাবে তাদের কাজগুলো করুক। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হোক। আমরা নিশ্চিত তারা সে কাজটি করবে।
জেলা প্রশাসক নিয়োগে গতকাল সচিবালয়ে হাতাহাতি হয়েছে, জনগণ বিষয়টি ভালোভাবে নিচ্ছে না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, গত ১৫-১৬ বছরে দেশে চরমভাবে রাজনৈতিককরণ হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার নিজেদের লোক বসানোর ফলে দেশের নির্বাহী বিভাগ দলীয় নির্বাহী বিভাগে পরিণত হয়েছে। এখান বেরিয়ে আসা খুব সহজ কাজ নয়। হয়তো ভুলত্রুটি থাকতে পারে, আমরা বলবো আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার জন্য। নিজেদের মধ্য আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিলে ভালো হবে। কারণ বিগত শেখ হাসিনা রেজিম নির্বাহী বিভাগকে ধংস করে চলে গিয়েছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হলে একটা ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা থাকতে হবে।