বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা: নুরুল হক নুর

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৪ পূর্বাহ্ন, ১১ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১২:২৬ পূর্বাহ্ন, ১১ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

‘বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা দেখা যাচ্ছে’ এমন মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হলেও রাজনৈতিক শঙ্কা কাটেনি। দেশের জনগণ এখনও অনিশ্চয়তার মধ্যেই রয়েছে।

রোববার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত ‘আঠারো হতে চব্বিশ: কোটা সংস্কার হতে রাষ্ট্রসংস্কার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন: ৮ উপদেষ্টার দুর্নীতির কথিত অভিযোগ দেয়ার পর সাত্তারের ফোন বন্ধ, বিএনপির অস্বীকার

নুরুল হক নুর বলেন, এই দেশে নির্বাচনের সাতদিন আগেও এক-এগারোর মতো ঘটনা ঘটেছে। তাই তারিখ ঘোষণা মানেই স্থিতিশীলতা নয়, বরং আমাদের আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, অনেকে মনে করছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভাগ-বাটোয়ারা আগেই ঠিক হয়ে গেছে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। দেশে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো যোগ্যতার অভাব রয়েছে। এ অবস্থায় ছাত্র অধিকার পরিষদ ও গণঅধিকার পরিষদের মতো সংগঠনের সামনে সুযোগ তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন: চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে আহত ও অসুস্থদের চিকিৎসা সহায়তা দিলেন তারেক রহমান

তিনি দাবি করেন, ইতিহাসে খুব কম সময়ের মধ্যে কোনো ছাত্র সংগঠন এমন দ্রুতগতিতে একটি বড় রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। আমরা ক্ষমতাসীনদের তৈরি কোনো ‘কিংস পার্টি’ নই, বরং জনগণের মাঠ থেকে উঠে আসা সংগঠন।

ছাত্র সংসদের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে নুর বলেন, বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতাসীনরা ছাত্র সংসদ বন্ধ করে দিয়ে ছাত্রদের লাঠিওয়ালা বাহিনীতে পরিণত করেছে। মেধাবীদের জায়গায় স্থান পেয়েছে গুণ্ড বাহিনী। এর ফলে ছাত্র রাজনীতি তরুণদের কাছে ঘৃণার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা চাই পরিচ্ছন্ন ছাত্র রাজনীতি এবং তা সম্ভব হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ চালুর মাধ্যমে।

২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র অধিকার পরিষদের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই অভ্যুত্থানে মাঠ প্রস্তুত করেছিল ছাত্র অধিকার পরিষদ। আমরা ৯০ মিনিটের খেলায় ৮৫ মিনিট খেলেছি, কিন্তু শেষ মুহূর্তে গোল দিয়েছে অন্য কেউ।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মেহেদী মারুফ। তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে আশাবাদ তৈরি হয়েছিল, তা বাস্তবায়ন হয়নি। সরকার সংস্কারের নামে শুধু রূপরেখা দিচ্ছে, কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই।

সভায় আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আল শাহরিয়া শুভ, ২০১৮’র কোটা সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক মাসুদ মোন্নাফ, সাবেক সভাপতি নাঈমুল ইসলাম নাইম, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিফুল ইসলাম সোহান ও সাংগঠনিক সম্পাদক রোকেয়া জাবেদ মায়া।

অনুষ্ঠানে রাজশাহী জেলার বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।