ভোটের আগে আসন ভাগাভাগি নিয়ে সমমনাদের সঙ্গে বিএনপির দরকষাকষি
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আসন ভাগাভাগি নিয়ে সমমনাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে বিএনপি। সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির কাছে শতাধিক আসন দাবি করেছে বলে জানা গেছে। তবে কে কোন আসন পাবে—তা নিয়ে চলছে জোর দরকষাকষি ও রাজনৈতিক তৎপরতা।
ঘোষিত সময় অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সেই হিসেবে আর মাত্র চার-সাড়ে চার মাস বাকি। নভেম্বরের মাঝামাঝিতে তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। তার আগেই প্রার্থী চূড়ান্ত ও কৌশল নির্ধারণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো।
আরও পড়ুন: যারা ধর্ম ও মুক্তিযুদ্ধকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে তাদের কাছে দেশ নিরাপদ নয় : সালাম আজাদ
বিএনপি ইতোমধ্যে একক প্রার্থী তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে। দলের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চলতি অক্টোবর মাসের মধ্যেই আসনভিত্তিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের নিয়েও ভোটে অংশ নিতে চায় দলটি। এ লক্ষ্যে আসন বণ্টনে সমঝোতার চেষ্টা চলছে।
দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপির কাছে সমমনা দলগুলো মিলে ১০০টিরও বেশি আসন দাবি করেছে। এর মধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চ একাই দাবি করেছে ৫০টি আসন। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) চায় অন্তত ১৫টি আসন। দলটির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ ইতিমধ্যে লন্ডনে গিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি থেকে সাংবাদিকদের বেরিয়ে আসার আহ্বান মির্জা ফখরুলের
এ ছাড়া ১২ দলীয় জোট দাবি করেছে ২০টি আসন এবং জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট চেয়েছে ৯টি আসন। আরও কয়েকটি শরিক দল নিজেদের তালিকা তৈরি করে বিএনপির হাতে দিয়েছে। অনেকে আবার আগাম প্রচারণাতেও নেমে পড়েছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা এমন আসনেই শরিকদের প্রার্থী দেব, যেসব আসনে জয়লাভের বাস্তব সম্ভাবনা রয়েছে। আলোচনায় সেই দিকটিই আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই আসন ভাগাভাগি বিএনপি-জোটের জন্য বড় পরীক্ষা হতে যাচ্ছে। কারণ প্রার্থী নির্ধারণে ভুল হলে অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ এবং ভাঙন তৈরি হতে পারে—যা নির্বাচনপূর্ব রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলবে।





