৭ ঘণ্টায় ১২ লাখ টাকার বেশি অনুদান পেলেন ডা. তাসনিম জারা

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:২০ পূর্বাহ্ন, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৮:২০ পূর্বাহ্ন, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

নির্বাচনী ব্যয়ের জন্য জনগণের সহায়তা চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া একটি পোস্ট মুহূর্তেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে অনুদানের ঢল নেমেছে।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ডা. তাসনিম জারা জানান, মাত্র সাত ঘণ্টায় সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ১২ লাখ টাকারও বেশি অনুদান এসেছে।

আরও পড়ুন: গুলিবিদ্ধ এনসিপি নেতার নারীসঙ্গীর আটক বাসা থেকে অবৈধ যা যা উদ্ধার হল

তিনি লেখেন, জনগণের এই অভূতপূর্ব সাড়া তাদের প্রত্যাশারও বাইরে ছিল। ডা. তাসনিম জারা জানান, তার নির্বাচনী ব্যয়ের মোট লক্ষ্যমাত্রা ৪৬ লাখ ৯৩ হাজার ৫৮০ টাকা। এই লক্ষ্য পূরণ হওয়ার আগেই ৩৪ লাখ টাকা সংগ্রহ সম্পন্ন হলে ফান্ডরেইজিং কার্যক্রম বন্ধ করা হবে।

এর আগে একই রাতে দেওয়া আরেকটি পোস্টে তিনি জানান, মাত্র চার ঘণ্টায় সংগৃহীত হয়েছে ৫ লাখ ২৬ হাজার টাকা। তবে অর্থের পরিমাণের চেয়েও তাকে বেশি অনুপ্রাণিত করেছে অনুদানের ধরন। বেশিরভাগ অর্থ এসেছে ৫ টাকা, ১০ টাকা, ২০ টাকা কিংবা ৫০ টাকার মতো ক্ষুদ্র অঙ্কে। অনেক দাতা ছোট বার্তায় নিজেদের পরিচয় দিয়েছেন—কেউ শিক্ষার্থী, কেউ সাধারণ কর্মজীবী মানুষ।

আরও পড়ুন: প্রত্যাবর্তন ঘিরে উৎসবমুখর প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা বলয়

ডা. তাসনিম জারা বলেন, প্রচলিত রাজনীতিতে বিপুল অঙ্কের কালো টাকার ব্যবহার রাজনীতিকে সাধারণ মানুষের হাতছাড়া করেছে। তিনি স্পষ্ট করে জানান, আইনে নির্ধারিত সীমার বাইরে এক টাকাও ব্যয় করবেন না এবং প্রতিটি টাকার হিসাব প্রমাণসহ প্রকাশ করা হবে।

সোমবার রাত সোয়া নয়টার দিকে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি প্রথমবারের মতো নিজের বিকাশ নম্বর ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট প্রকাশ করে জনগণের কাছে নির্বাচনী সহায়তা চান। সেখানে তিনি বলেন, বিপুল অর্থ ব্যয় করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সংস্কৃতি রাজনীতিকে দুর্নীতির দিকে ঠেলে দেয়। নতুন ধারার রাজনীতি গড়তে হলে জনগণকেই হতে হবে মূল শক্তি।

ডা. তাসনিম জারার এই উদ্যোগ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই এটিকে স্বচ্ছ ও জনভিত্তিক রাজনীতির একটি নতুন দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন।