যে দোয়ায় আইয়ুব (আ.) রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ | আপডেট: ৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

হযরত আইয়ুব আ. ছিলেন তৎকালীন সময়ের এক সম্ভ্রান্ত ও ধনাঢ্য ব্যক্তি। গৃহপালিত প্রাণী, দাস-দাসী, এবং বিস্তীর্ণ জমির মালিকানা ছিল তার। এছাড়া তিনি ছিলেন বহু সন্তানের জনক। তবে আল্লাহ তায়ালা তাকে কঠিন এক পরীক্ষার সম্মুখীন করেন। সব সন্তান-সন্ততি এবং ধন-সম্পদ হারানোর পাশাপাশি, তিনি এক গুরুতর শারীরিক রোগে আক্রান্ত হন। এই রোগের ফলে তার শরীরে কীট-পতঙ্গ চলাফেরা করত এবং মাংস খসে পড়তে শুরু করেছিল। এমনকি শরীর থেকে হাড় এবং শিরা ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না।

এই চরম অবস্থায়ও হজরত আইয়ুব আ. ধৈর্য ধরে আল্লাহ তায়ালার প্রশংসা করতেন। তার জিহ্বা ও হৃদয় তখনও সক্রিয় ছিল, যা দিয়ে তিনি সবসময় আল্লাহর জিকির করতেন। রোগের তীব্রতা বৃদ্ধি পেলে তিনি আল্লাহর দরবারে অত্যন্ত নম্র ও বিনীতভাবে দোয়া করেন।

আরও পড়ুন: নুসুক অ্যাপ এখন থেকে ইন্টারনেট ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে

তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছিলেন:

اَنِّیۡ مَسَّنِیَ الضُّرُّ وَ اَنۡتَ اَرۡحَمُ الرّٰحِمِیۡنَ

আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক হোসেনি দালান থেকে তাজিয়া মিছিল শুরু

উচ্চারণ: আন্নী মাসসানিয়াদ দুররু ওয়াআনতা আরহামার রা-হিমীন।

অর্থ: আমি তো দুঃখ-কষ্টে পড়েছি, আর আপনি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু। (সূরা আম্বিয়া, আয়াত: ৮৩)

এই দোয়া ছিল অত্যন্ত বিনম্র এবং শালীন। কোনো অভিযোগ বা দাবি ছাড়াই তিনি আল্লাহর দরবারে তার কষ্টের কথা তুলে ধরেন। শুধুমাত্র আল্লাহর দয়ার ওপর আস্থা রেখে তিনি এই প্রার্থনা করেন।

অবশেষে আল্লাহ তায়ালা তার এই দোয়া কবুল করেন। আল্লাহ বলেন:

‘আমি তার ডাকে সাড়া দিলাম, তার সমস্ত দুঃখ-কষ্ট দূর করে দিলাম এবং তার পরিবার-পরিজন তাকে ফিরিয়ে দিলাম। তাদের সঙ্গে তাদের সমপরিমাণ আরো দিলাম আমার পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ।‘ (সূরা আম্বিয়া, আয়াত: ৮৪)

হজরত আইয়ুব আ.-এর এই দোয়া আমাদের শিখিয়ে দেয়, বিপদের সময়ও আল্লাহর প্রতি গভীর আস্থা ও বিনয় প্রকাশ করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর জীবনযাত্রা ধৈর্য ও বিশ্বাসের এক উজ্জ্বল উদাহরণ।