এবার তিন পর্বে হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা, শুক্রবার প্রথম পর্ব শুরু

এবার তিন পর্বে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম ধর্মীয় সমাবেশ ‘বিশ্ব ইজতেমা’। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার এন এম নাসিরুদ্দিন জানিয়েছেন- ইজতেমাকে সামনে রেখে হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
পুলিশ জানায়, এবারের বিশ্ব ইজতেমা তিন পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দুই পর্ব শুরায়ে নেজাম বা জুবায়েরপন্থীরা করবেন। তৃতীয় পর্ব করবেন সাদপন্থিরা। মৌখিকভাবে এই তথ্য জানালেও কোনো প্রজ্ঞাপন দেয়নি। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শুরায়ে নেজাম বা জুবায়েরপন্থিরা ইজতেমার প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি ও ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পালন করবেন। পরে ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি মাওলানা সাদপন্থিরা ইজতেমা পালন করবেন।
আরও পড়ুন: জুমার দিনে মুসলমানদের ১১ টি বিশেষ আমল
এ ব্যাপারে শুরায়ি নিজামের ইজতেমা আয়োজক কমিটির মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শুরায়ি নিজাম টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি ও ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি দুই ভাগে ইজতেমা করবে। ইজতেমাকে সামনে রেখে ময়দানের প্রস্তুতি কাজ এগিয়ে চলছে।
মাওলানা সাদ আহমদ কান্ধলভী অনুসারী ইজতেমা আয়োজক কমিটির মিডিয়া সমন্বয়কারী বলেন, মুরুব্বিদের পরামর্শক্রমে ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে নিজামুদ্দিন মারকাজ অনুসারীদের বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হবে।
আরও পড়ুন: মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট দিয়েও করা যাবে হজযাত্রী নিবন্ধন
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মুসল্লির সমাগমকে সামনে রেখে প্রতিদিন সাড়ে তিন কোটি গ্যালন পানির ব্যবস্থা থাকছে। বাড়তি টয়লেট নির্মাণ ও পাকা টয়লেটগুলো ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনে মুসল্লিদের কোনো সমস্যা হবে না।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার এন এম নাসিরুদ্দিন জানান, ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সিসিটিভি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার ও রুফটপ থেকে পুরো ইজতেমা ময়দানের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এ ছাড়া বিশেষায়িত টিমসহ প্রতিটি খিত্তায় সাদা পোশাকে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। অগ্নিনির্বাপণের জন্য প্রতি খিত্তায় এবার দু’টি করে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রাখা হবে। তুরাগে নৌ টহল থাকবে। বিশ্ব ইজতেমা ময়দান ও আশপাশে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থাকবে পুলিশ এবং সশস্ত্র বাহিনী।