টানা পাঁচ দিনের শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত পঞ্চগড়ের জনজীবন

পঞ্চগড়ে গত ৫ দিন ধরে তৃতীয় দফায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সন্ধ্যা নামেলেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন এ অঞ্চলের মানুষ। বর্তমানে ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা নেমে ৯ ডিগ্রির ঘরে রয়েছে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের সহকারী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
এদিন সকালে বিভিন্ন এলাকায় হালকা কুয়াশা পড়তে দেখা গেছে। তবে উত্তরের হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতা কয়েকগুণ বাড়িয়েছে। পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময়ে তৃতীয়বারের মতো মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে উত্তরের এই জনপদ। টানা শৈত্যপ্রবাহের কারণে গত কয়েকদিন ধরেই প্রচুর শীত পড়েছে পঞ্চগড়ে। সন্ধ্যার পর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না মানুষ। ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। মাঠে কৃষিকাজ প্রায় হচ্ছেই না। কনকনে শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে অনেকেই বাড়ির আঙিনা ও ফুটপাতসহ চায়ের দোকানের চুলায় বসে আগুন পোহাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যার মধ্যে ঝড়-বৃষ্টির আভাস, নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত
এদিকে ঠান্ডার কারণে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।