৯০ দিন নিষেধাজ্ঞার পর উন্মুক্ত হচ্ছে সুন্দরবন

Abid Rayhan Jaki
সৈয়দ মহিউদ্দীন হাশেমী, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৩:২৭ অপরাহ্ন, ৩০ অগাস্ট ২০২৪ | আপডেট: ৯:৩০ পূর্বাহ্ন, ৩০ অগাস্ট ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

টানা ৯০ দিন নিষেধাজ্ঞার পর আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনে প্রবেশ উন্মুক্ত হচ্ছে। বনজীবী ও পর্যটকরা রোববার থেকে যথাযথ নিয়ম মেনে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবে।

এদিকে সুন্দরবন উন্মুক্ত হওয়ার তিন দিন আগে দুই দফা দাবিতে গত ২৮শে আগস্ট বিক্ষোভ মিছিল ও বন বিভাগের কার্যালয় ঘিরে সমাবেশ করেছে সাতক্ষীরা

আরও পড়ুন: চাঁদাবাজি নয়, নেপথ্যে নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণ কাহিনী

রেঞ্জের বনজীবীরা।তাদের দাবি হলো সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যাবে না এবং বনের অভয়ারণ্য এলাকা খুলে দিতে হবে।

বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে ২০২০ সালের ২৮ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জুন জুলাই ও আগস্ট এই তিন মাস সুন্দরবনে বিচরণকারী পশু-পাখি ও গাছ-গাছালির প্রজনন মৌসুমে তিন মাসে সুন্দরবনে সর্ব প্রকার পর্যটন ও বন নির্ভর পেশা স্থগিত রাখা হয়।

আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় বকেয়া বেতনের দাবিতে দেড় ঘণ্টা সড়ক অবরোধ

বনজীবীদের অভিযোগ সুন্দরবন তিন মাস বন্ধ থাকায় হাজার হাজার বনজীবীর আয় রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবার নিয়ে অর্ধাহার কিংবা অনাহারে থাকতে হয়। বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় পরিবার নিয়ে  তাদের মানবেতর জীবন-যাপন করতে হয়।

বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে জলভাগের পরিমাণ ১ হাজার ৮৭৪ দশমিক ১ বর্গকিলোমিটার; যা পুরো সুন্দরবনের আয়তনের ৩১ দশমিক ১৫ শতাংশ। সুন্দরবনের জলভাগে ২১০ প্রজাতির সাদা মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি, ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া পাওয়া যায়। জুন থেকে আগস্ট—এই তিন মাস প্রজনন মৌসুমে সুন্দরবনের নদী ও খালে থাকা বেশির ভাগ মাছ ডিম ছাড়ে। এ কারণে গত ১ জুন থেকে তিন মাসের জন্য জেলে ও পর্যটকদের সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন বিভাগ। রবিবার থেকে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে।

বন বিভাগ সূত্রে আরও জানা গেছে, সুন্দরবনে সম্পদ আহরণের জন্য ১২ হাজার নৌকা ও ট্রলারকে বোর্ড লাইসেন্স সার্টিফিকেট (বিএলসি) দেওয়া হয়। এসব নৌযানের মাধ্যমে প্রতিবছর এক থেকে দেড় লাখ জেলে, বাওয়ালি ও মৌয়াল সুন্দরবনের সম্পদ আহরণ করেন। এ ছাড়া সুন্দরবনের ৭টি ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রে প্রতিবছর আড়াই লাখের বেশি পর্যটক ভ্রমণ করেন।

সুন্দরবন সংলগ্ন সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালীনি ও হরিনগর এলাকায় যেয়ে দেখা গেছে , জেলেরা নৌকা ও মাছ ধরার জাল মেরামতের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। 

সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালীনী ফরেস্টার এ.বি.এম হাবিবুল ইসলাম বলেন, যারা অনুমতি নিয়ে বনের ভেতরে যাবেন তাদের নিরাপত্তার জন্য আমরা সচেষ্ট থাকবো।তিনি জানান এবছর সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতায়  সুন্দরবনে মাছ ও কাঁকড়া ধরতে যাবেন প্রায় সাত হাজার জেলে।

এছাড়া গত ২৮ আগষ্ট সাতক্ষীরা রেঞ্জ এলাকার বনজীবীরা যে দুই দফা দাবি করেছে তাদের দাবিগুলো উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।