বাহারি পিঠার স্বাদের মুগ্ধতা ছড়ালো ভালুকার পিঠা উৎসব

Sanchoy Biswas
ময়মনসিংহ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৬:৪৬ অপরাহ্ন, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | আপডেট: ৪:১২ অপরাহ্ন, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

মিষ্টতায় ভোজন রসিকদের মুখ রাঙ্গিয়ে হাজারো মানুষের স্বাদের মুগ্ধতা ছড়িয়ে ময়মনসিংহের ভালুকায় হয়ে গেলো বাঙালির লোকজ ইতিহাস-ঐতিহ্যে পিঠা উৎসব।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ভালুকা সরকারি কলেজ আয়োজিত ওই কলেজ মাঠে দিনব্যাপি এই উৎসবের আয়োজন করা হয়।

আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মদপানে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ১

এবারের পিঠা  উৎসবে ১৫টি স্টলে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু চিতই পিঠা, দুধচিতই, ছিট পিঠা, দুধকুলি, ক্ষীরকুলি, তেলুলি, পাটিসাপটা, ফুলঝুড়ি, ধুপি পিঠা, নকশি পিঠা, মালাই পিঠা, মালপোয়া, পাকন পিঠা, ঝাল পিঠা সহ নানান পদের পিঠার স্থান পায়।

শীতের শেষ আর ঋতুরাজ বসন্তের শুরুতেই ময়মনসিংহের ভালুকায় প্রথমবারের মতো বাঙালির লোকজ ইতিহাস-ঐতিহ্যে পিঠা-পুলির উৎসবকে ঘীরে ভোজনরসিকদের ভিন্ন মাত্রার এক বার্তা দেয়। এতে হাজার হাজার ভোজান প্রেয়সী মুখরোচক বাহারি পিঠার স্বাদের মুগ্ধতায় ছুটে আসে উৎসবে। এছাড়াও সাধারণত শীতকালের রসনাজাতীয় খাবার হিসেবে অত্যন্ত পরিচিত এবং মুখরোচক খাদ্য হিসাবে বাঙালি সমাজে আদরণীয়। আত্মীয়স্বজন ও পারস্পরিক সম্পর্কের বন্ধনকে আরও দৃঢ় ও মজবুত করে তুলতে পিঠা-পুলির উৎসব বিশেষ ভূমিকা পালন করে। গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে পিঠা-পায়েস তৈরির ধুম শীতকালেই বেশি পড়ে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে উৎপাদনশীল করতে হলে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে: ড. মঈন খান

কুয়াশাচ্ছন্ন ভোর বা সন্ধ্যায় গাঁয়ের বধূরা চুলার পাশে বসে ব্যস্ত সময় কাটায় পিঠা তৈরিতে। অতিথি বিশেষ করে জামাইদের এ সময় দাওয়াত করে পিঠা খাওয়ানো হয়। এ সময় খেজুরের রস থেকে গুড়, পায়েস এবং নানারকম মিষ্টান্ন তৈরি হয়। খেজুরের রসের মোহনীয় গন্ধে তৈরি পিঠা-পায়েস আরও বেশি মধুময় হয়ে আসার বহমান সংস্কৃতির ধারাবাহিকতায় আজও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পিঠা উৎসব পালন হয়ে আসছে।

সে ধারাবাহিকতায় জমকালো আয়োজনে আনুষ্ঠানিকতায় ভালুকার এই উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম) এর পরিচালক(গ্রেড-৩) ড. মো. আতিকুল ইসলাম। এতে সভাপতিত্ব করেন ভালুকা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, অধ্যাপক আ ন ম শাহাদাৎ হোসেন। 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভালুকা সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান তুহিন, প্রভাষক জাহিদুল ইসলাম সুবিন সহ  ভালুকা সরকারি কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও রোভার স্কাউট সদস্যরাও অংশ নেয়।