নেপথ্যে মাদক কারবার

কাপাসিয়ায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

Sadek Ali
গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, ০২ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ২:৫৩ পূর্বাহ্ন, ০২ জুলাই ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। 

গতকাল মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কড়িহাতা ইউনিয়নের বেহাইদুয়ার এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম মো. নাঈম (২৬)। তিনি ওই এলাকার রাজু মিয়ার ছেলে।

আরও পড়ুন: ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাতিলের দাবিতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে মানববন্ধন

ঘটনার পর পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতির নির্দেশে ১৫টি সিএনজি করে তার অনুসারীরা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নাঈমকে হত্যা করেছে।

আরও পড়ুন: ফের ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম রবি শিক্ষার্থীদের

নিহতের মা মমতাজ বেগম বলেন, আমার ছেলেকে বাসা থেকে নিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে, আমার স্বামীকে কুপিয়ে আহত করেছে রিয়াজের লোকজন। আমি এর বিচার চাই।

যোগাযোগ করা হলে গাজীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শাহ রিয়াজুল হান্নান মুঠোফোনে বলেন, শুনেছি মাদক কারবার নিয়ে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এখানে আমার নাম কেনো আসলো বুঝতে পারছিনা। আমার নাম কেনো আসলে এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।

কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। পরিবারের অভিযোগ কাপাসিয়া থানা মামলা নিচ্ছে না। প্রাণ ভয়ে তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বিগত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপি নেতা খন্দকার আজিজুর রহমান পেরার নেতৃত্বে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, মাদক কারবারসহ নানা অপকর্ম সংগঠিত হচ্ছে। বিএনপি নেতা আরজু,সাইফুল, নজরুল, শিশিরের নেতৃত্বে বিশাল সন্ত্রাসীবাহিনী গঠন করে গোটা এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাদের অপকর্মে কেউ বাধা দিলে তার উপর নামে নির্যাতনের খড়গ। কাপাসিয়ার ইউএনও ও ওসিকে ম্যানেজ করে কিংবা কোন কোন ক্ষেত্রে তাদের যোগসাজশে এসব অপকর্ম চলে। এমনকি তাদের অপকর্মে বাধা দিলে তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। গতকালের ঘটনা মাদক কারবারকে নিয়ে সংগঠিত হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। কারণ কাপাসিয়ার মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণ করে পেরার নেতৃত্বে চক্রটি। আগে এ চক্রটি নিয়ন্ত্রণ করতো আওয়ামী লীগ নেতা সাখাওয়াত চেয়ারম্যান। জানা গেছে, পুলিশের সহযোগিতায় যুব সমাজ ধ্বংসে কাপাসিয়ায় মাদকের জমজমাট ব্যবসা চলে। এলাকাবাসী জানান, গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করলে সকল অপকর্ম বেরিয়ে আসবে।