জীবননগরে প্রবল বৃষ্টিপাতে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট ও জমির ফসল, চরম জন দুর্ভোগ

Sadek Ali
সালাউদ্দীন কাজল, জীবননগর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন, ১৫ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, ১৫ জুলাই ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

সোমবার দুপুর থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে জীবননগরে চরম জন দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে পানির নিচে। বৃষ্টি পাতের সাথে ঝোড়ো বাতাসে নষ্ট হয়েছে জমির ফসল। প্রবল বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে এতে অনেক মানুষ গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিন ধরে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সক্রিয়তার কারণে মাঝারি ও হালকা বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। মাঝে দুইদিন বিরতির পর সোমবার দুপুর থেকে আবারও মুশলধারে বৃষ্টিপাত শুরু হয়।

বৃষ্টিপাতের কারণে জীবননগর উপজেলার জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। দিন মজুর, খেটে খাওয়া মানুষদের বসে থেকে দিন পার করতে হচ্ছে। বৃষ্টির কারনে মানুষ অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না। ভ্যান, অটোরিকশা ও সিএনজি চালকরাও বেকার সময় কাটাচ্ছেন।

আরও পড়ুন: তুহিন হত্যার বিচারের দাবিতে নবীনগরে সাংবাদিকদের মানববন্ধন

বৃষ্টিপাতের কারণে নিচু স্থানের রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। রাস্তার ওপর সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। সাধারণ পথচারী ও শিক্ষার্থীদের চলাচলে চরম ভোগান্তি পেতে হচ্ছে। রাস্তার ওপর পানি জমে থাকার কারনে রাস্তার ইট খোয়া উঠে গেছে।

রাস্তা ডুবে যাওয়ার কারনে রোগীদের হাসপাতালে নিতে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে স্বজনরা।জীবননগর পৌরসভার অনেক রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

আরও পড়ুন: যারা নির্বাচনে ভয় পায়, তারাই পিআর পদ্ধতি চায়: শামসুজ্জামান দুদু

এদিকে বৃষ্টি পাতের কারনে উপজেলার নিচু জমির ফসলগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টির সাথে ঝড় হওয়ার কারনে ভেঙ্গে পড়েছে কলাগাছ ও পেঁপে গাছ। ধানের বীজতলা পানিতে ডুবে গেছে। বিশেষ করে ধান, পাট, কলা, পেঁপে, কচু, মরিচ চাষিদের বেশি ক্ষতি হয়েছে। অনেকের পুকুর ভেসে গেছে।

চাষিরা বলছেন, আষাঢ় মাসের শুরু থেকেই বৃষ্টিপাত হয়ে যাচ্ছে। এভাবে বৃষ্টিপাত হতে থাকলে সব ফসলেরই ক্ষতি হবে।

উপজেলার উথলী গ্রামের কৃষক ছাত্তার আলী বলেন, আষাঢ় মাসে এমন বৃষ্টিপাত আমি অনেক বছর দেখিনি। বিলের মাঠে দুই বিঘা জমিতে আউশ ধানের চাষ করেছিলাম। গত কয়েক বছর ধরে ধান ভালো হয়েছে। পানিতে ডুবে না। কিন্তু এবার বৃষ্টির কারনে ধানগুলো পনির নিচে তলিয়ে গেছে।

সজীব হোসেন নামের আরেক কৃষক বলেন, প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে ক্ষেতের জমির ফসল সব ডুবে গেছে। জমির মহাজনের টাকা ও সারের দোকানের বাকি কিভাবে পরিশোধ করবো।