কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সড়কে তীব্র ভাঙন, যান চলাচল ঝুঁকিতে

টানা বৃষ্টি আর জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়াতে আবারও ভাঙ্গনের মুখে পড়ছে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সড়ক। এর সাথে ঝাউবাগানেও তীব্র ভাঙনে পড়েছে। জোয়ারের পানি বেড়ে সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের ধাক্কায় সাবরাং জিরো পয়েন্ট, হিমছড়ি, শাহপরীর দ্বীপ ও মহেশখালী পাড়া নৌ-ঘাটের মেরিন ড্রাইভ সড়কটি ভাঙনের কবলে পড়েছে।
শনিবার (২৬ জুলাই) থেকে বেশি ভাঙন দেখা গেছে।জানা যায়, মেরিন ড্রাইভ ভাঙনে সাগরের পানি চাষের জমিতে ঢুকে পড়ছে। এতে চাষের ফসল নষ্ট হচ্ছে। এদিকে, কক্সবাজারসহ ১৫ জেলায় ৩ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি আগামী দুই-তিনদিন বৃষ্টিপাতের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর আগেও গত ৩০ মে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ঢেউয়ের আঘাতে টেকনাফ মুন্ডার ডেইল, বাহার ছড়া শীলখালীর কয়েকটি অংশ ভেঙে পড়ে।
আরও পড়ুন: দামুড়হুদায় বিজিবির অভিযান, বিপুল পরিমাণ রুপা জব্দ
সাবরাংয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকার সেলিম বলেন, সাগরের জোয়ারের পানি বেড়ে গেলে দ্রুত গতির ঢেউয়ের ধাক্কায় মেরিন ড্রাইভ সড়কে একটু একটু করে ভাঙন সৃষ্টি হয়। পানির ধাক্কা ঠেকানোর জন্য জিওটিউব বাঁধ রয়েছে, তারপরও ভেঙে যাচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, মেরিন ড্রাইভ জিরো পয়েন্ট অংশের প্রায় এক-দেড়শ ফুট পশ্চিম সাইট ভেঙে পড়ে। এভাবে ভাঙন চলতে থাকলে জিরো পয়েন্টের অংশের মেরিন ড্রাইভ পুরোপুরি ভেঙে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। সেই সঙ্গে লোনা পানি ঢুকে পড়ায় ফসলেও ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, উত্তাল সাগরের ঢেউয়ের আঘাতে মেরিন ড্রাইভ সাবরাং, সদর ইউনিয়নের কিছু অংশসহ শাহ পরীর দ্বীপের দিকে মেরিন সড়কে ভাঙন বেশি দেখা দিয়েছে। এর আগে বাহারছড়া শীল খালী এলাকায় যেখানে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছিল সেগুলো ঠিক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তুহিন হত্যার বিচারের দাবিতে নবীনগরে সাংবাদিকদের মানববন্ধন
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহেসান উদ্দিন বলেন, মেরিন ড্রাইভ সড়কের কয়েকটি অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে শুনেছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর আগে শীলখালি ও টেকনাফ সদর ইউনিয়ন অংশের মেরিন ড্রাইভের কিছু অংশ ভেঙে গিয়েছিল তা মেরামত করা হয়েছিল।