প্রেমের টানে মালয়েশিয়ান তরুণী এখন জীবননগরে

Sanchoy Biswas
সালাউদ্দীন কাজল, জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা)
প্রকাশিত: ৪:৫৭ অপরাহ্ন, ০৩ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন, ০৩ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ভালোবাসার টানে ভৌগোলিক সীমানা পেরিয়ে মালয়েশিয়া থেকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে এসেছেন মালয়েশিয়ান তরুণী স্মৃতিনূর আতিকা বিনতে আব্দুল ওহাব (৩০)। বিয়ে করেছেন বাংলাদেশের ছেলে জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামের জিনারুল মল্লিকের পুত্র মালয়েশিয়া প্রবাসী রিংকু রহমানকে (৩২)।

শনিবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় স্মৃতিনূর আতিকা ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান রিংকু রহমান ও তার পরিবারের লোকজন।

আরও পড়ুন: রায়পুরায় কাউকেই গ্রীন সিগন্যাল দেওয়া হয়নি বলে দাবি মনোনয়ন প্রত্যাশীদের

দুই পরিবারের সম্মতিতে তারা চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি মালয়েশিয়াতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন রিংকু।

রিংকু রহমান জানান, ২০১৮ সালে তিনি বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনের কাজের জন্য মালয়েশিয়াতে যান। যাওয়ার কয়েক মাস পরেই স্মৃতিনূর আতিকার সাথে তার পরিচয় হয়। এরপর কয়েক বছর উভয়ের মধ্যে মোবাইল ফোনে কথা হতে থাকে। কথা বলার এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ভালোবাসা গড়ে ওঠে। পরে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে উভয় পরিবারের সম্মতিতে মালয়েশিয়াতে তাদের বিয়ে হয়।

আরও পড়ুন: কুলাউড়ায় গ্রাম পুলিশদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক

রিংকু রহমান আরও জানান, “আমি ছুটিতে বাড়িতে আসলে তারও বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। আমি এখন দেশে আছি, তাই সেও আমাদের বাড়িতে এসেছে।”

রিংকু রহমান বলেন, “সে ছয় মাসের ছুটিতে বাংলাদেশে এসেছে। এর মধ্যে তিন মাস অতিবাহিত হয়েছে। ছুটি শেষে স্ত্রীকে সাথে নিয়ে আবার মালয়েশিয়াতে চলে যাবো।”

রিংকু রহমানের পিতা জিনারুল মল্লিক বলেন, “ছেলের পছন্দকে সম্মান জানাতে আমরা বিয়েতে সম্মতি দিয়েছিলাম। আমাদের বউমা ভিনদেশী হলেও সবার সাথে মিলেমিশে চলছে। ঘরের খুটিনাটি কাজগুলো সে নিজেই করছে।”

মালয়েশিয়ান তরুণী আসার সংবাদ চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মালয়েশিয়ান তরুণীকে এক নজর দেখার জন্য রোববার সকাল থেকে রিংকু রহমানের বাড়িতে প্রতিবেশীরা ভিড় জমাচ্ছেন।