সুনামগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩, আহত ৫
সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কের বাহাদরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীসহ ৩ সিএনজি যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২ জন। বুধবার দুপুর পঁচিশে একটায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর বাসচালক পালিয়েছে।
দুর্ঘটনার পর বাহাদরপুর এলাকায় সড়কের আশপাশের শত শত মানুষ এসে জড়ো হওয়ায় বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। আহতদের সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দামুড়হুদায় বিজিবির অভিযান, বিপুল পরিমাণ রুপা জব্দ
নিহতরা হলেন— শান্তিগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আফসানা জাহান খুশি। তিনি সুনামগঞ্জ শহরের আরপিননগর এলাকার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে।
অন্য শিক্ষার্থী স্নেহা চক্রবর্তী (১৮)। তিনি সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে সুনামগঞ্জ শহরের বাসায় ফিরছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস গ্রামে।
আরও পড়ুন: তুহিন হত্যার বিচারের দাবিতে নবীনগরে সাংবাদিকদের মানববন্ধন
এছাড়া শফিকুল ইসলাম (৫০) নামের আরও একজন সিএনজি যাত্রী নিহত হয়েছেন। তিনি শহরের আলীপাড়ার বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাহাদুরপুর এলাকায় সুনামগঞ্জ থেকে সিলেটগামী বাস (নম্বর সিলেট ব-১১-০১১১) এবং সুনামগঞ্জগামী সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ বাধে। দ্রুতগামী বাসটি উল্টো পাশে (রং সাইডে) গিয়ে সিএনজিকে আঘাত করে। এসময় সিএনজির যাত্রীরা হতাহত হন।
আহত যাত্রীরা হলেন, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার লালারচর গ্রামের ঐশী রানী পাল (১৮), তিনি গ্রামের বিনয় ভূষণ পালের মেয়ে।
অন্যজন শান্তিগঞ্জ উপজেলার বসিয়া খাউরি গ্রামের বাসিন্দা রমজান আলীর ছেলে সিএনজি চালক রশিদ আহমেদ।
বাসের যাত্রী ছোটন সূত্র দাস জানান, “আমি বাসের পেছনের সিটে ছিলাম। বাহাদরপুর এলাকার সামনে আসার পর হঠাৎ খেয়াল করলাম গাড়ি হোচট খেয়েছে। পরে দেখি সড়কের একেবারে কিনারে (এক পাশে) চলে গেছে গাড়ি। চালক ব্যাকগিয়ারে গাড়ি সড়কে তুলে দ্রুত চালানো শুরু করে। আমরা যাত্রীরা চালকের কাছে জানতে চাই, ‘কী হয়েছিল, এভাবে চালাচ্ছেন কেন?’ সে কিছু বলেনি। দিরাই সড়কমোড় পার হয়ে একটি গ্রামের সামনে বাস থামিয়ে চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। এসময় যাত্রীরা যে যার মতো গন্তব্যে ফিরে যান।”
সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল কালাম সড়ক দুর্ঘটনায় তিন জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন জানান, নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘাতক বাস আটক করা হয়েছে। চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
