সরকারি কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকা উচিত

চট্টগ্রামের এসপি ফ্যাসিস্ট সুবিধাভোগী ও গুরুতর সন্দেহজন

Sadek Ali
বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১:১৬ পূর্বাহ্ন, ০৭ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, ০৭ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু রাজনৈতিক বক্তব্য নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক বক্তব্য আওয়ামী লীগ সরকারের সময় পদোন্নতি পদায়নের যাচাইয়ের অন্যতম মাপকাঠি ছিল। পুলিশ কর্মকর্তারা শেষ সময় প্রতিযোগিতা মূলক ভাবে বিরোধী দল এমনকি সর্বজন শ্রদ্ধেয় শীর্ষ রাজনীতিবিদ সম্পর্কে বেফাস কোন বক্তব্য দিয়ে দলীয় আনুগত্য প্রমাণের চেষ্টা করত।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার থাকাকালীন শফিকুল ইসলামের ঘৃণিত বক্তব্য অন্যতম। বেনজির আহমেদ, মনিরুল ইসলাম সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাজনৈতিক নেতার মতই বক্তব্য দিতেন। চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ এর অত্যন্ত স্নেহ ভাজন হিসাবে পরিচিত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আহমেদ কে নিয়া সেই সময় তার গর্বিত নেতা হিসাবে অনেক ডকুমেন্টে ভাইরাল হয়েছে।

আরও পড়ুন: টঙ্গীতে ভ্রমণব্যাগে পলিথিনে মোড়ানো আট খন্ড লাশের পরিচয় মিলেছে

গোয়েন্দা শাখায় কাজ করা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার ছাত্র জীবনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির ছিলেন।

২৭ তম বিসিএসে চাকরি যোগদানের পর এলিট ফোর্স র‍‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে পোস্টিং হয়। কারাগারে বিচারাধীন গুম খুনের মাস্টারমাইন্ড সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল হাসান র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক থাকার সময়ে গোয়েন্দা ইউনিটের সহকারি পুলিশ সুপার ছিলেন বর্তমান আলোচিত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম। এই দুজনের বাড়ি একই অঞ্চলে হওয়ায় তাদের মধ্যে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা তৎকালীন কর্মকর্তারা লক্ষ্য করেছেন। ওই সময়ই গুম খুনের আলোচিত ঘটনা গুলো শুরু হয়।

আরও পড়ুন: সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে জীবননগরে মানববন্ধন