কক্সবাজার সৈকতের বালিয়াড়িতে দোকান উচ্ছেদের নির্দেশ

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়ি এলাকায় গড়ে ওঠা সব দোকান ও বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসনের অনুমোদিত এসব স্থাপনার লাইসেন্স ও অনুমোদন অবিলম্বে বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ কামরুজ্জামান এনডিসি স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে এ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীর সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ ঢাকায় গ্রেফতার
১৯৯৯ সালে সরকার কক্সবাজার-টেকনাফ সমুদ্র সৈকতকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এবং ইসিএ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০১৬ অনুযায়ী এখানে—
* বন উজাড়
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদের বাড়িতে ডিম নিক্ষেপ, এনসিপি কর্মীদের ক্ষোভ
* বন্যপ্রাণি ধরা
* ভূমি ও পানির বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন
* দূষণকারী শিল্প স্থাপন
* এবং বালিয়াড়িতে স্থাপনা নির্মাণ আইনত নিষিদ্ধ
এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া ভূমির শ্রেণি পরিবর্তনও করা যাবে না।
২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ে উল্লেখ করা হয়, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও ইসিএ বিধিমালা অন্য সব আইনের ওপর প্রাধান্য পাবে। তবুও আইনের তোয়াক্কা না করে সৈকতের বালিয়াড়িতে শত শত দোকান ও বাণিজ্যিক স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মতে, এসব স্থাপনা সৈকতের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে কেবল পরিবেশবান্ধব পর্যটন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না, বরং দীর্ঘমেয়াদে সৈকতের অস্তিত্বও ঝুঁকিতে পড়ছে।